এতো সহজে স্বীকারোক্তি নেয়া যাবে না: বাবুল আক্তার
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নেয়ার পর প্রথমে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। শেষ দিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৭ মে) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তারকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে নিয়মানুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জবানবন্দি দিতে আরও তিন ঘণ্টা সময় দেন। এরপর তাকে জবানবন্দি দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের খাসকামরায় নেয়া হয়। কিন্তু খাসকামরায় গিয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান বাবুল। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশকে বাবুল আক্তার বলেন, ‘আমার নার্ভ খুব শক্ত। এতো সহজে স্বীকারোক্তি নেয়া যাবে না।’ তবে শেষ দিকে এসে এক পর্যায়ে জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও ম্যাজিস্ট্রেটের খাসকামরায় গিয়ে মত পাল্টে ফেলেন তিনি।
আদালতে দেওয়া আবেদনে পিবিআই বলেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি লিখিতভাবে উল্লেখ করে পিবিআই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করে। আবেদনের পর মামলার আসামি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের খাসকামরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করেও জবানবন্দি দিতে রাজি হননি বাবুল।
পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্রে জানা গেছে, এসময় সন্তানদের কথা চিন্তা করে কয়েকবার কেঁদেছেন বাবুল আক্তার। জবানবন্দি না দেয়ার ব্যাপারে সিরিয়াস ছিলেন তিনি।
পিবিআই সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আরও একবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। দেশের বাইরে থেকে ওই হত্যাকাণ্ড চালানোর চেষ্টা হয়, তবে তখন বাবুলের সোর্স মুসা ব্যর্থ হন।
এই মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও বাকি সাত আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), আনোয়ার হোসেন (২৮), খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নতুন করে একটি মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়।
এমআই
আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...
মন্তব্য করুন