• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আতর-টুপি নিয়ে বিপদে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৩ মে ২০২১, ২২:২৬
আতর-টুপি নিয়ে বিপদে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা
আতর-টুপি নিয়ে বিপদে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দশ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ আতর-টুপির দোকান দিয়ে বসছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে দোকানে আতর-টুপি তুলেছেন। রমজানের প্রথম দিন থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান শুরু করলেও সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় ঈদের আগের তিনদিন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় যে বেচাকেনা করেছেন, তার চার ভাগের এক ভাগও এ বছর বিক্রি করতে পারেননি।

রাকিবুল ইসলামের মতো অবস্থা মৌসুমী ব্যবসায়ী জোবায়ের আহম্মেদ ও তাহমিদুল হক আবিরের। তারা বলছেন, ঈদের আগের তিনদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার টুপি-আতর বিক্রি হয়। এ বছর ৩-৪ হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদে জয়পুরহাটের বাইরের লোকেরা ঠিকমতো আসতে পারেনি। এছাড়াও ঈদের জামায়াত মসজিদে মসজিদে হওয়ায় এবং দুইদিন থেকে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ঈদের কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে, কি হবে বুঝতে পারতেছি না। না হলে অবিক্রিত মালগুলো নিয়ে ঈদুল আজহার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ দোকান ঘুরে দেখা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার ঈদে ক্রেতাদের ভিড় কম। দোকানিরা বাহারি টুপি ও আতর-সুরমার পসরা নিয়ে বসে আছেন। টুপিগুলোর মূল্য পাকিস্তানি ২৫০ টাকা, আল-আজিম ১২০ ১৩০ টাকা, আল সাইফ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, আল-কবির ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সুতার বুনা ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, জিন্নাহ ১৫০ টাকা, আফগান ২০০ টাকা, পাঁচতাল্লি ৫০ টাকা, স্কিন টুপি ৩০ টাকা, আবদুল্লাহ ৬০ টাকা, হক্কানি টুপি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, ফরহাদ ৬০ টাকা ও জালি টুপি ১২০ টাকা, নকশি ১৫০ টাকা, পঞ্চগড় টুপি ১৫০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আতর জোহরা, ফানটাসিয়া, দরবার, জেসমিন, কাঁচা বেলি, ব্লু লেডি চকোলেট বিক্রি হচ্ছে।

টুপি কিনতে আসা বিশ্বাসপাড়ার রফিকুল ইসলাম মুনি, দেবীপুর রেলগেট এলাকার আজম খান ও খঞ্জনপুর এলাকার আবির হাসান বলেন, করোনার কারণে আয় কমে গেছে। তবুও নতুন জামা কাপড়ের সঙ্গে টুপি-আতর কিনতেই হবে। তাই টুপি-আতর সুরমা কিনলাম।

মৌসুমী ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম, জোবায়ের আহম্মেদ ও তাহমিদুল হক আবির জানান, বাজারে প্রচুর মানুষ ঘুরতেছে কিন্তু কিনছে না। সুরমা-আতর বিক্রি হলেও টুপি বিক্রি হচ্ছে না। টুপি-আতর নিয়ে বিপদে আছি।

জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ারুল হক আনু মোবাইল ফোনে আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বচ্ছল পরিবাররা সারা বছরই কেনাকাটা করে। কিন্তু নিম্নবিত্তরা শুধু কোন উৎসবকে সামনে রেখে কেনাকাটা করে। তাছাড়া করোনার কারণে নিম্নবিত্তদের আয় কমে গেছে। এর প্রভাব শুধু টুপি-সুরমার দোকানেই নয়, সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই পড়েছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রেস্তোরাঁয় গিয়ে যে বিপদে পড়েন শহিদ-মীরা
সরকার ভয়ে, দেশটা বিপদে : মির্জা আব্বাস
‘বিপদে সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো’
মানুষ বিপদে পড়লে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে : প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh