সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেম্বার প্রার্থী নিহত
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় জোবায়ের হোসেন (৪৫) নামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক মেম্বার প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ মে) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত জোবায়ের সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী ছিল। আহত ৪ জন হলো মেহেদী হানান জীবন (২২), মো. ইরাক (৩৫), মো. রাজু (৩০), মো. রহিম (৩৮)। আহতদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় মো. ইরাকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার শেখ মাহমুদ। আহত সকলের বাড়ি উপজেলা সোনাদিয়া ইউনিয়নে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসানের সমর্থক।
-
আরও পড়ুন... টাকা তুলতে গিয়ে ইমাম জানলেন এসএমএস ভুয়া
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকে হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়ন ছিল উত্তপ্ত। এবার সোনাদিয়া নৌকার মনোনয়ন পায় উপজেলা যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এবার মনোনয়ন না পেয়ে খুবই বেপোরায়া হয়ে উঠে মাঠ দখলের জন্য। সেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে অবস্থান করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আব্দুর রহিম নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী জানান, শুক্রবার (৭ মে) সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে চরচেঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় বিতরণে অনিয়মের কথা বলে কয়েকজন প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের লোকজন এসে তাদের প্রতিহত করে।
-
আরও পড়ুন... আইপিএল ছেড়েই কামিন্সের মুখে উল্টো সূর
এই ঘটনার কিছুক্ষন পর উত্তর দিক থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন অস্ত্র নিয়ে এসে বাজারে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাজারে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে থাকা নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদেরকে পিটিয়ে বাজার থেকে বের করে দেয় নুরুল ইসলামের লোকজন। এসময় জোবায়ের তার অফিসে অবস্থান করে ছিল। তাকেও সন্ত্রাসীরা বাজার থেকে চলে যেতে বলে সে চলে না যাওয়ায় প্রথমে তাকে গুলি করে, পরে তার পায়ের দুটি রগ কেটে দেয়। এ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
-
আরও পড়ুন... মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে হামলার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, আমরা এখনো অভিযানে আছি। থানায় কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমআই/এম
মন্তব্য করুন