• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফল রক্ষা করতে অবাধে পাখি নিধন!

মেহেরপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৪ মে ২০২১, ২১:১৫
ফল রক্ষা করতে অবাধে পাখি নিধন!
ফল রক্ষা করতে অবাধে পাখি নিধন!

মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ফল লিচুর সুরক্ষার নামে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেড়েছে। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। স্থানীয় বন বিভাগের নীরবতায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা অবাধে পাখি শিকার করছে বলেও অনেকের মতামত। তবে প্রশাসন বলছেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, লিচু গাছের উপরে কারেন্ট জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও গোটা লিচু বাগানের চারদিক কারেন্ট জাল টাঙানো আছে। বিভিন্ন বাগানে টাঙানো জালে জীবিত ও মৃত পাখি ঝুলছে। আবার কোথাও কোথাও পড়ে আছে পাখির মৃত দেহ। কোনো কোনো বাগান মালিক পাখি শিকার করে তার মাংসও খান।

মেহেরপুর বার্ডস ক্লাবের সদস্য ও পাখি সংরক্ষণকারী মাজেদুল হক মানিক বলেন, পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। কিছু কিছু পাখি অর্থাৎ নিশাচর জাতীয় পাখি ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে। ফসলের উপর থেকে বিরূপ প্রভাব ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতির বন্ধু পাখি রক্ষায় প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাংনী ভিটাপাড়ার মাঠে লিচু বাগান মালিক হেলাল জানান, পাখি শিকারের কোনো উদ্দেশ্য নয়, পাখিরা বাগানের ফল খেয়ে নষ্ট করে। এদের কবল থেকে ফল রক্ষার্থে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হয়েছে। পাখি শিকার একটি জঘন্যতম অপরাধ- এটি স্বীকার করে গাছ থেকে জাল সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া হেমায়েতপুর লিচু বাগানের মালিক আনারুল ইসলাম জানান, তিনি জাল টাঙিয়েছিলেন কিন্তু কয়েকটি বাদুড় মারা যাবার পর জাল খুলে নিয়েছেন। শুধু ক্ষুধার্ত পাখিরা নয়, অনেক নিরীহ পাখি যারা তপ্ত রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছায়া খোঁজে তারাও জালে আটকা পড়ে। তিনি কোনো পাখি মেরে ফেলেননি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, পাখি শিকার জঘন্যতম অপরাধ। এলাকায় গিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আম বাগানে পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা লাশ
ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগান, বাম্পার ফলনের আশা 
অবশেষে বাগানে ফুল তোলার চাকরি নিলেন তটিনী
X
Fresh