খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বার পর জানাজানি
জামালপুরের মেলান্দহে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী (৩০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ওই নারী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ধর্ষণের অভিযোগে এক মুদি দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হাবিল উদ্দিন (৪২) বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নে।
আরও পড়ুনঃ গ্রেনেড ভেবে পুলিশে ফোন, পরে জানা গেলো সেক্স টয়!
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলায় মুদি দোকানদার হাবিল উদ্দিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কাউকে ঘটনা না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে এভাবে অভিযুক্ত হাবিল উদ্দিন আরও তিন দিন তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার নারী এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে আর ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন। এরপরই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে এবং ঘটনা জানাজানি হয়। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান। ভুক্তভোগী ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
-
আরও পড়ুন... শিল্পপতির ছবি ফেসবুকে আপলোড করাই কাল হলো মেয়েটির
পরে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১১টায় মেলান্দহ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। এর আগে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষক হাবিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভুক্তভোগীর মুখোমুখি করা হয়। এ সময় তিনি হাবিল উদ্দিনকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হাবিল উদ্দিনকে বুধবার (২৮ এপ্রিল) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন