এসএসসি পাস না করেও এমবিবিএস ডাক্তার, রোগী দেখছেন ১০ বছর ধরে
এমবিবিএস পাস করেছেন জানিয়ে কুষ্টিয়ায় শুরু করেন চিকিৎসাসেবা। তিনি ১০ বছর ধরে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে রোগী দেখে আসছিলেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে র্যাব ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
-
আরও পড়ুন ... গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
জিজ্ঞাসাবাদে দণ্ডপ্রাপ্ত এম কে এইচ খান সিলেটের ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেলের ছাত্র বলে দাবি করেন। ওই মেডিকেলে পড়াশোনা করেছেন কিন্তু নানা জটিলতায় তিনি কোনো সনদ পাননি। সবকিছু গোপন করে কুষ্টিয়া শহরের বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে ও অপারেশন করে আসছিলেন।
জানা গেছে, অভিযানের সময় এম কে এইচ খান বিজয়ের সনদ যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল জালিয়াতির প্রমাণ পায়। তাই তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তাকে সহযোগিতা করার জন্য কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান ও কুষ্টিয়া র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মাহাফুজুর রহমান। এ সময় প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান বলেন, অভিযুক্ত এম কে এইচ খান বিজয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ইস্যু করা একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল করে ভুয়া সনদ তৈরি করেন। যাচাই করে দেখা যায় এই আইডি সাতক্ষীরা জেলার একজন চিকিৎসকের, যিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।
-
আরও পড়ুন... গণপরিবহন বন্ধই থাকছে
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত এম কে এইচ খান বিজয় এসএসসি পাসও করেননি। অথচ এমবিবিএস, এফসিপিএস ডিগ্রিধারী মেডিসিন ও বক্ষ-ব্যাধি বিশেষজ্ঞ দাবি করে আসছিলেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নথিপত্র পর্যালোচনা করে তাকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন