• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে আম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের লঙ্কাকাণ্ড!

ইবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২২:১৮
Chili with mango in Islamic University!
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে আম নিয়ে লংকা কাণ্ড!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মাস্টার্স ২০১৯-২০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাঠানো ভুক্তভোগীর এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হাসান, একই বিভাগের ছাত্রী ও তার স্ত্রী এবং বাসা মালিকের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে যান। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হলের সামনে আম পাড়তে গাছে উঠেন এবং ৮ থেকে ১০টি আম সংগ্রহ করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে হাসানকে গাছ থেকে নেমে আসতে বলেন। গাছ থেকে নেমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে না চিনতে পেরে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।

এ সময় ওই সহকারী প্রক্টর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্র হইছিস তাতে কি হয়েছে! আমসহ সামনে দাড়া! তোর ছবি উঠাব’ বলে শাসায়। পরে ভুক্তভোগী ভুল স্বীকার করা সত্বেও সহকারী প্রক্টর বলেন ‘ক্যাম্পাস কি অরাজকতা পাইছিস! এভাবে ক্যাম্পাসের ফল ফলাদি নিয়ে যাস! তোদের কারণে ক্যাম্পাসে কিছু থাকে না।’

এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর আরিফ ভুক্তভোগীকে সজোরে থাপ্পড় দেন এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে তাদের আটকে রাখেন। পরে পক্টরিয়াল বডি ভুক্তভোগীসহ অন্য দুই জনকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান আলী বলেন, ‘নিজের ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পাড়ায় থাপ্পড় খেতে হলো। আমাকে থাপ্পড় মারার কারণে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি আমার শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার বিচার চাই।’

অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। তার উদ্ভট আচরণে আমি খুবই ক্ষুব্ধ। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh