• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শাশুড়ির সহযোগিতায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪৮

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধূ আজমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ মিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূর সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করতেন নিহত আজমিনার শাশুড়ি! ছেলে কৃষক শাহনুর মিয়া কৃষি শ্রমিক হিসাবে বাহিরে কাজ করতে গেলে গোলাপ মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনতেন আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগম।

আরও পড়ুন... বিয়ে ছাড়াই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, ধরা পড়ার চাঞ্চল্য কাহিনী!

গেল মঙ্গলবার রাতে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার হন আজমিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক গোলাপকে জুতাপেটা করেন আজমিনা। ক্ষিপ্ত হয়ে আজমিনার মাথায় টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে আঘাত করে গোলাপ। ঘটনাস্থলেই আজমিনার মৃত্যু হয়। এসময় সাহরির সময় ঘনিয়ে এলে মরদেহ গুমের চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে গোলাপ ও তার সহযোগীরা। পরে শাশুড়ি হেলেনার সহযোগিতায় রাতেই বাড়ির পাশে খড়কুটো দিয়ে আজমিনার মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায় গোলাপ ও তার সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা।

আজমিনা হত্যা রহস্য উদঘাটনের পর শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৯ সিলেট সিপিসি ৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ।

আরও পড়ুন... মুখ না দেখালে খুলবে না পর্ন ওয়েবসাইট

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের কৃষক শাহনুর মিয়ার স্ত্রী আজমিনার রক্তাক্ত মরদেহ খড়কুটো দিয়ে ঢাকা রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর আমির হোসেন আমিরুল কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বুধবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তার একদিন পরেই তথ্য-প্রমাণাদির সাপেক্ষে আজমিনার শাশুড়িসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামাবাগ জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া, তার সহযোগী একই গ্রামের আকরম আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া ও নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি হেলেনা বেগম। শুক্রবার তাদের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তোলা পথশিশু মারুফ নিখোঁজ!

শুক্রবার সন্ধ্যায় লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ গ্রামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল। দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে আজমিনার শাশুড়িকে টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে এই সম্পর্ক তৈরি করে। শাশুড়ির সহযোগিতায় ইতোপূর্বে কয়েকবার দুই শিশু সন্তানের জননী আজমিনাকে ধর্ষণ করে গোলাপ। মঙ্গলবার আজমিনাকে হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় সরাসরি সহযোগিতা করেন আসামি হেলেনা বেগম, গোলাপের সহযোগী সোহাগ মিয়াসহ আরও কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও ওই শাশুড়ি টাকা পয়সা খেয়ে বিভিন্ন মেয়েকে ভোগের সুযোগ তৈরি করে দেয় গোলাপকে।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র‌্যাব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হাতিরঝিলে ভাসছিল এক ব্যক্তির মরদেহ
ঘরে ঝুলছিল তরুণের মরদেহ
ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
শ্রীপুরে পৃথক স্থান থেকে গৃহবধূ ও হিজড়ার মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh