টাঙ্গাইলে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার আনন্দ সেখ (৫৫) এর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী নাছিরের ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ধুবড়িয়া পূর্বপাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির জানায়, রবিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী কুষ্টিয়া নয়পাড়া গ্রামের মৃত যদুর শেখ এর ছেলে আনন্দ শেখ (৫৫) আমার শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে ভূট্টা ক্ষেতের পাশের ঘাস ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণরত অবস্থায় আমার মামী বিষয়টি দেখে ফেলায় ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ভুক্তভোগী শিশুর নানী বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে আমি শিশুটিকে ভূট্টা ক্ষেতে আশেপাশে বিচলিত দেখি। পাশের ক্ষেতেই নেইপিয়ার জাতের ঘাস কাটতে ছিলো আনন্দ সেখ। পরক্ষণেই বাচ্চাটিকে আনন্দ নেইপিয়ার ঘাস ক্ষেতে নিয়ে যায়। কয়েক মিনিট পরেও মেয়েটি না আসায়, আমি ক্ষেতের দিকে এগিয়ে দেখি আনন্দ এবং মেয়েটি ঘাস ক্ষেতে উলঙ্গ অবস্থায়, আনন্দ মেয়েটির মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ করছে।

এরপর আমাকে দেখা মাত্রই লম্পট আনন্দ শিশুটিকে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি শিশুর মাকে জানাই। এরপর শিশুটিকে নিয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে যায় তার পরিবার।

নাগরপুর সদর হাসপাতালে শিশুটিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিবার সন্ধ্যায় ডাক্তার কাবেরি দাশ ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপরই অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার্ড করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান।

ধর্ষীতার পিতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সংবাদটি লেখার সময় পর্যন্ত তিনি বলেন, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে, ডাক্তারা তাদের সাধ্যমত সেবা দিচ্ছেন।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আনন্দর সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে না পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী সাথে কথা বললে সে বলেন, গতকালের ঘটনা শুনে স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি এসব অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, মেয়েটি নাকি তার গলা জড়িয়ে ধরে ঘাস কেটে দেয়ার কথা বলেছে।

এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় চলছে গুঞ্জন ও চাপা ক্ষোভ।সবাই আনন্দ সেখের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষনের ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমআই