গরিবের ছবি নিয়া কী করবেন ভাই?
রাত প্রায় ১টা, সোমবার মধ্যরাতে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের সামনে শত শত মানুষের জমায়েত। বুঝতে আর দেরি হয় না, বাড়ি ফেরার গাড়ি ধরতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন হাতে-কাঁধে ব্যাগ নিয়ে।
শুধু পুরুষ মানুষ যে তা নয়, নারী, শিশু, বুড়োরাই একই পথের পথিক। কিন্তু এই লকডাউনে কীভাবে যাবেন? বাড়ি ফেরার বাস তো নেই। তাইতো ভরসা মালবাহী ট্রাক। একটা একটা করে ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, প্যাসেঞ্জারে ভর্তি হলেই ছাড়ছে ট্রাক। এ সময় ছবি তুলতে গেলে হতাশ কণ্ঠে তারা বলে ওঠে, ‘গরিবের ছবি নিয়ে কী করবেন ভাই?’
অথচ সোমবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লকডাউন’ চলাকালে পণ্যবাহী পরিবহন যাতে কোনোভাবেই যাত্রীবাহী পরিবহনে রূপ না নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
-
আরও পড়ুন ... থানা কোয়ার্টারে এসআইয়ের আত্মহত্যা
রাতেই তার উল্টো চিত্র দেখা যায় রাজধানী জুড়ে। ট্রাকের জন্য অপেক্ষারত হারিস মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাড়ি আমাদের ফিরতে হবে। সাতদিন নাকি বের হওয়া যাবে না ঘর থেকে। এই কদিন কে খাওয়াবে আমাদের। আমরা তো দিন এনে দিন খাই।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আহ্বান উপেক্ষা করে ডাবল বা তার চেয়েও বেশি ভাড়ায় ট্রাকে প্যাসেঞ্জার নেয়া নিয়ে আবদুল মালেক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, ‘বাস চলছে না, মানবিক দিক চিন্তা করে বের হয়েছি। এই মানুষগুলো যখন যেতেই হবে তখন না হয় পৌঁছে দেই বাড়ি। তাতে আমারও কটা টাকা আসলো।’
এমআর/এম
মন্তব্য করুন