শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম এরশাদ মিয়া (৪৫)। তিনি শাল্লা থানার হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে। এরশাদ মিয়া মামলার ৪০ নাম্বার আসামি।
নোয়াগাঁও গ্রামের হামলায় ঘটনায় আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ শনিবার পর্যন্ত এরশাদ মিয়াসহ মোট ৩৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেন। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০০ জন আসামী করে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। দুইটি মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ৩৮ আসামীর মধ্যে ২৯ আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এদিকে ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে গত ১ এপ্রিল সেই অভিযুক্ত ঝুমনের মা নিভা রানী দাস বাদী হয়ে ৭২ জনকে আসামী করে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা’র আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এমআই
মন্তব্য করুন