আতিয়া মহল থেকে বাসিন্দারা মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন
সিলেটের জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের বাসিন্দারা মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাড়ির মালিক উস্তার মিয়া ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পুলিশ তালিকা অনুযায়ী ২৮ পরিবারের মধ্যে এ মালামাল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে।
সোমবার বিকেলে আতিয়া মহলকে বিস্ফোরকমুক্ত ঘোষণা করে র্যাব। এর ১৮ ঘণ্টা পর বাড়িটি মালিক ও ভাড়াটিয়াদের কাছে হস্তান্তর করা হলো। তবে পুলিশ জানিয়েছে বাড়িটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাউকে থাকতে দেয়া হবে না।
সকালে বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা নিজেদের রেখে যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র বোমা আর গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
আতিয়া মহলের নিচতলার বাসিন্দা পিয়ালি চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। জঙ্গি আস্তানাটি নিচতলায় হওয়ায় তাদের ইউনিটের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ভাঙা একটি ওয়ার্ডরোব ও ফ্যান পড়ে আছে। আক্ষেপ করে বলেন, কষ্টের রোজগার দিয়ে এগুলো তৈরি করেছি। কিছুই নেই।
তিনতলা, চারতলার আরো কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রেখে যাওয়া জিনিসপত্র পেয়েছি তবে সেগুলোর বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিস্ফোরকমুক্ত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ‘অপারেশন ক্লিয়ার আতিয়া মহল’ নামের তল্লাশি অভিযান শেষ হয় সোমবার। একটানা সাত দিন তল্লাশি চালিয়ে নয়টি শক্তিশালী অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মালপত্র বুঝে নিয়েছেন।
গেলো ২৫ মার্চ সকাল থেকে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনীর অভিযান শেষে ৩ এপ্রিল থেকে র্যাব বিস্ফোরকমুক্ত করতে অপারেশন ক্লিয়ার আতিয়া মহল শুরু করে। সোমবার এ অভিযানের শেষ করার ঘোষণা দেয় র্যাব।
এমকে
মন্তব্য করুন