মামুনুল ইস্যু: ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছনার ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার, মামলা ২৯
হেফাজত ইসলামকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ও ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে আফজাল খান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশের সামনে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেনসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘শিশুবক্তা’ মাদানীকে আটকের পর যা বললো পরিবার
বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত ৯ টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে বুধবার (৭
এপ্রিল) দুপুরে একই ঘটনায় ধর্মপাশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেনকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, হেফাজতের ডাকা হরতালে ভাঙচুর-সহিংসতার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ওই লাঞ্ছনার শিকার হন আফজাল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে প্রাণহানির প্রতিবাদে ওই হরতাল ডাকা হয়েছিল।
এই ঘটনায় বহিষ্কৃত জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বহিষ্কার করার এক ঘণ্টার মাথায় বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় আবুল হাসেম আলমকে জয়শ্রী বাজার থেকে আটক করে পুলিশ। এর আগে বুধবার বিকাল ৪ টায় ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় আবুল হাসেম আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, গ্রেপ্তার যুবক
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আবুল হাসেম আলম, তার ছেলে আল মুজাহিদসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাত ৮টায় ধর্মপাশা থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দাখিল করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খান। থানায় অভিযোগ দাখিল করার পর আটককৃত আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। থানার অভিযোগে প্রধান আসামি আলমের ছেলে আল মুজাহিদ, দ্বিতীয় আসামি আবুল হাসেম আলম।
প্রত্যাহার হওয়ার আগে মামলার দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খানের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম আলমকে জয়শ্রী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন