• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চট্টগ্রামে মেয়র-সাবেক মেয়রের বাকযুদ্ধ

জয়নুল আবেদীন, চট্টগ্রাম

  ১০ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৫

বন্দর লুটেপুটে খাচ্ছে দলের কয়েকজন নেতা। যাদের মধ্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও আছেন। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তবে সামনা সামনি নয়। দুজনই বিভিন্ন সভা ও বৈঠকে একে অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

এর আগে বেশ ক'বার মহিউদ্দীন চৌধুরী সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রকাশ্য সভায়। নগরবাসীকে বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বাড়তি ট্যাক্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নগরবাসীর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সকালে নগরীর রামপুরা ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীর নালা-নর্দমা ও ফুটপাত দখল, প্লট বরাদ্দের নামে ধোকাবাজি, সরকারি সম্পদ অপচয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অবৈধ দখলসহ ভোগ বিলাসের জন্য বহুমুখী অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছিলেন অনেকেই। তারাই অন্তরের জ্বালা প্রশমিত করার জন্য নগরবাসীর সামনে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি চড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

মেয়র বলেন, সরকারের বিধি-বিধান, আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে নাগরিকদের কাছ থেকে পৌরকর আদায় করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মেয়র ও তার পরিষদের পক্ষে পৌরকর ধার্য করা বা বৃদ্ধি করার কোন এখতিয়ার নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে ১৯৮৫ সন থেকে পৌরকর ধার্যকৃত হারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্তমানে কর পুন:মূল্যায়ন করছে মাত্র। সাবেক মেয়রকে ইঙ্গিত করে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, এ বিষয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত অন্তরজ্বালা প্রশমিত করার কোনো সুযোগ নেই।

অতিতে অনেক দু:সময় ও প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে জনগণের রায় নিয়ে ইমানি দায়িত্ব হিসেবে সততার সঙ্গে সেবা করার মানসিকতায় দায়িত্ব পালন করছি। এ ক্ষেত্রে কোনো অপশক্তি সফল হবে না। ৩ অর্থ বছরের মধ্যে নাগরিক সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তসহ কোনো বাধাই তার চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখতে পারবে না। নগরবাসীকে দেয়া প্রতিটি ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করাই আমার অঙ্গীকার, বলেন মেয়র।

৮ এপ্রিল শনিবার নিজ বাসভবনে চট্টগ্রাম বন্দর লুটেপুটে খাচ্ছে দলের ৪ নেতা এমন মন্তব্য করে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী বলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ৪ জনের একজন। অবশ্য বাকি ৩ জনের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। এসময় তিনি বলেন বন্দরকে নিয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবেনা। চট্টগ্রামের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ করলেই আমি প্রতিবাদ করবো। মূলত মহিউদ্দীন চৌধুরীর এমন কথার প্রতিবাদ জানিয়ে সিটি মেয়র আজ বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এদিকে, বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র, নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ লালদিঘী ময়দানে মহিউদ্দীন চৌধুরী সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। শনিবার তার বাসায় আজ গরম কথা বলবে সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্যও করেন তিনি। তবে একই নগরে মেয়র ও সাবেক মেয়রের মধ্যে কাঁদা ছোটাছুটিকে ভাল চোখে দেখছেন না রাজনীতি বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ জনগণ। একই দলের দুই নেতার এমন আচরণ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ভেদাভেদ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বড় কোনো দূর্ঘটনা হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh