• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘তবুও স্বপ্ন দেখি আমার মেয়ে ডাক্তার হবে’

পাবনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৩৮
‘তবুও স্বপ্ন দেখি আমার মেয়ে ডাক্তার হবে’

মেডিকেল কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সুজানগরের হতদরিদ্র ভ্যান চালকের মেয়ে জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী। তিনি মেধাক্রমে ৩১১০ তম হয়ে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুরে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। পাবনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে মুন্নী পেয়েছেন ৬৯.৭৫ নম্বর।

শিক্ষা জীবনজুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল মুন্নীর নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও আবার সেই আর্থিক দুশ্চিন্তাই তাকে ঘিরে ধরেছে। ভর্তির সুযোগ পেলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দেবেন অর্থের যোগান এই শঙ্কায় দিন কাটছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মুন্নীর।

মুন্নী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক বাকী বিল্লাহ এবং গৃহিনী রওশন আরা খাতুনের মেয়ে। ৪ সন্তানের মধ্যে মুন্নী বড়।

মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লাহ বলেন, মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ যোগানোর সামর্থ্য তার নেই। ব্র্যাকের স্থানীয় শাখা থেকে ২০ হাজার টাকা লোন নিয়ে একটি ভ্যান ক্রয় করি। সেই ভ্যান চালিয়ে দিনে যে দুই-তিনশত টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়েই কোন রকম কষ্টে পরিবারের ৬ জনের মুখের আহার তুলে দেওয়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ চালাতে হয়। তাই সংসার চালানো যেখানে দায়, সেখানে মেয়েকে ডাক্তারি পড়ানোর খরচ চালানো আমার কাছে দুঃস্বপ্ন। তবুও স্বপ্ন দেখি আমার মেয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে ভর্তি করাতে পারবো কিনা জানি না।

তিনি বলেন, মুন্নী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, সে পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ছোট থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল।

পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১৯৮৪ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও বিগত ৩৬ বছরে এই বিদ্যালয় থেকে কোনও শিক্ষার্থী সরকারী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পায়নি। কিন্তু এবারে দরিদ্র পরিবারের এই অত্যন্ত মেধাবী মেয়ে মুন্নী সে সুযোগ পাওয়ায় আমরা গর্বিত। সে আমাদের বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে।

তিনি আরও জানান, মুন্নী অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্রী। প্রশাসন সহ সমাজের বিত্তবানরা নজর দিলে মুন্নীর ডাক্তারি পড়া আটকাবে না।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘পরীক্ষা শেষে হলের সিট প্ল্যান পরিবর্তন করা হয়েছে’
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ মিথ্যা!
শিক্ষার্থীর কাছে ওএমআর শিট ছেঁড়ার অভিযোগ শুনে যা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওএমআর শিট ছেঁড়ার অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থীকে ডেকেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
X
Fresh