অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর খুন
রাজশাহীর বাঘায় আমবাগান থেকে শামিমা আক্তার সীমা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ১৫ দিন পর হত্যারহস্য উৎঘাটন হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোরে ফরিদপুর সদর থানা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বজলুর রহমান (৪০) বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে।
আসামি বজলুর রহমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তার বন্ধুর প্রেমিকা ছিলেন নিহত শামিমা আক্তার সীমা। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাই দুই বন্ধু মিলে সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।
আরও পড়ুনঃ শাল্লা থানার ওসি বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি
পুলিশ জানায়, বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামের আতব আলীর মেয়ে শামিমা আক্তার সীমা (৩৫)। সীমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে সে বাঘা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেই সুবাদে বাঘা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী ও উপজেলার বাজুবাঘা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজার (২৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অপর আসামি বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৪০)।
আরও পড়ুনঃ মামুনুলকে নিয়ে যা বললেন দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে
এই বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুল বারি জানান, ২৩ মার্চ সকালে শামিমা অক্তার সীমাকে হত্যা করে আরিফপুর মাঠের আরেন আলীর আমবাগানে রেখে যায়। সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে বিষ দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। শামিমা আক্তার সীমার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ হত্যার রহস্য উদঘটনের চেষ্টা চালায় পুলিশ। বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর রহস্য উৎঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রাজাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জিএম
মন্তব্য করুন