• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর

শাল্লা থানার ওসি বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৫৩
Shalla Police Station OC dismissed, Dirai Police Station OC transferred
শাল্লা থানার ওসি বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দিরাই ও শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বহুল আলোচিত শাল্লার ঘটনার ২০ দিন পর ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে জেলায় বদলি করা হয়েছে। তবে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মামুনুলকে নিয়ে যা বললেন দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে

দিরাই-শাল্লা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সফিয়ান বলেন, ‘প্রত্যাহার নয়, শুনেছি দুই থানার ওসিকে জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বদলির কোনো কাগজপত্র পাইনি।’

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে জেলায় বদলি করা হয়েছে। শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ শাল্লা নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। ১৭ মার্চ বুধবার সকাল ৯টায় তাণ্ডব চালানো হয়। এই ঘটনায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।

আরও পড়ুনঃ মামুনুলের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ, বাড়ি ভাঙচুর

নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ ৩৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে গত ১ এপ্রিল সেই অভিযুক্ত ঝুমনের মা নিভা রানি দাস বাদী হয়ে ৭২ জনকে আসামি করে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহার আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হামলার দুই দিন আগে ১৫ মার্চ সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh