শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মুন্সিগঞ্জে বাড়ি বাড়ি শোকের মাতম (ভিডিও)
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ জনে। এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জেরই ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের বাড়ি বাড়ি চলছে শোকের মাতম।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রমজানবাগ এলাকার বীথি বেগম (২৫), তার মেয়ে আরিফা (১) ও বীথির মা পাকিজা বেগমের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা তিনজন একই পরিবারের। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মাটিতে শুয়ে বিলাপ করছেন নিহত বীথির ননদ রুপা ও জা জিয়াসমিন বেগম।
একই ঘটনায় স্ত্রী সুনীতা সাহা, দুই সন্তান আকাশ সাহা (১২) ও বিকাশ সাহাকে (২২) হারিয়েছেন শহরের মালোপাড়া এলাকার সাধন সাহা। সোমবার বড় ছেলের মরদেহ বাড়িতে এনেছি। ছোট ছেলেটা এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের বাড়িতেও শোকের মাতম।
সোলায়মান ব্যাপারি (৬০) ও বেবি বেগম (৫০) চরডুমুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের বাড়িতেও শোকের মাতম। স্বজনরা জানান, সোলায়মান ব্যাপারির ফুসফুসে ক্যানসার ছিল। চারদিন আগে তাকে কেমোথেরাপি দিতে ঢাকায় নেওয়া হয়। থেরাপি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। মেয়ে তাদের বন্দর থেকে লঞ্চে উঠিয়ে শেষ বিদায় দেন।
নৌপথে নারায়ণগঞ্জ হয়ে অথবা মীরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চে সরাসরি ঢাকা যেতে পছন্দ করেন তারা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তির শেষ নেই। এই দুই নৌপথও এখন সিন্ডিকেটের দখলে। প্রভাবশালী লঞ্চ মালিক সিন্ডিকেট করে দীর্ঘদিনের পুরোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চগুলো দিয়ে এই পথে যাত্রী পারাপার করছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নারায়ণগঞ্জের লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৭ জনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রতিটি পরিবারকে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ পরিবারগুলোর অন্য যেকোনও ধরনের মানবিক সহযোগিতা মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।
এমআই/পি
মন্তব্য করুন