মামুনুলের সমালোচনা করায় বিপাকে স্কুলশিক্ষক
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমালোচনা করায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে তোপের মুখে পড়েছেন এক স্কুলশিক্ষক। এসময় সালিশ বসিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীরা ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি করেন।
রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে ওই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয় নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
- আরও পড়ুন... টেক্সাসে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি জেনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জেলা প্রশাসককে ওই শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। তাকে কেউ অপমান করতে চাইলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
জানা গেছে, রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে একটি হোটেলে নাশতা করছিলেন রফিনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসবি গোলাম মোস্তফা। তিনি কথা প্রসঙ্গে মাওলানা মামুনুল হক ও রফিকুল হক মাদানী ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বলে মন্তব্য করেন। এসময় স্থানীয় এক হেফাজত নেতা এটি শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে যোগ দেন হেফাজতের আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা। পরে তারা এই বিষয় নিয়ে বাজারে বিক্ষোভ শুরু করেন।
-
আরও পড়ুন... রমজানে ওমরার সুযোগ পাবেন যেসব মুসল্লিরা
সংবাদ পেয়ে দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম, রফিনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজোয়ান হোসেন খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি জরুরি সভায় বসেন। এসময় সভায় হেফাজতের স্থানীয় অনুসারীরাও যোগ দেন। তারা প্রধান শিক্ষক এসবি জয়নাল আবেদিনকে চাকরিচ্যুতির দাবি জানান।
তবে এক পর্যায়ে হেফাজত নেতারা অনড় অবস্থানের কারণে এবং প্রশাসনের অনুরোধে ওই প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চান। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলেও হেফাজত অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রধান শিক্ষককে চাকরিচ্যুতি করা হয়েছে বলে প্রচার শুরু করে।
-
আরও পড়ুন... মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
এই বিষয়ে দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, সংবাদটি শোনার পরই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে কিছু লোক প্রধান শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি ও বিচার দাবি করেছিল। আমরা বুঝিয়ে বিষয়টি শেষ করে দিয়ে এসেছি। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন