পরকীয়ার জেরে খুন করার দায়ে মা-মেয়ের যাবজ্জীবন
জামালপুরে পরকীয়ার জেরে ১ জনকে খুন করার দায়ে মা ও মেয়েসহ ৩ জনের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন, মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা (৩৫), তার মা মোছা. সুফিয়া আক্তার রিনা (৫৩) ও মো. এহসান আহাম্মেদ সোহাগ (৩৬)। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র রায়ের।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে ২০১৩ সালের ৮ মে সকালে জামালপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারী সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান মজনুকে (৩৭) হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ডেংগারগড় গ্রামের একটি পতিত জমিতে ফেলে রাখা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিনই নিহতের মা মোছা. হাসিনা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুত্রবধূ মোছা. ফারজানা ইসলাম লাকীসহ (৩৮) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় নিহতের স্ত্রীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে হয়। পরে কললিস্ট পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় চারজনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২২ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ এ রায় দেন আদালত।
এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সদর উপজেলার ডেংগারগড় গ্রামের আলতাফ হোসেন মুরাদের মেয়ে মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলাকে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, আলতাফ হোসেন মুরাদের স্ত্রী মোছা. সুফিয়া আক্তার রিনা এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. এহসান আহাম্মেদ সোহাগকে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থ-দণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যদিকে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় আবুল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন