বাড়ির সর্বস্ব চুরি করে ফেলে যেতেন হলুদ, লবণ, মরিচ!
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে রাতের আঁধারে অভিনব কায়দায় বাড়ির লোকজনকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তারসহ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জের দত্তের ডাংরী এলাকার আবদুস ছত্তারের ছেলে সবুজ মিয়া ওরফে আইলশা (৩০), কাকনহাটি এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে স্বর্ণকার শাহিন মিয়া (৪০) এবং কাঁঠাল ডাংরী এলাকার ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার শুরু ১০ জানুয়ারি রাতে। রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের চানু মেম্বারের বাড়ির লোকজন সন্ধ্যা নামতেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কিছুটা জ্ঞান ফিরলে তারা দেখতে পান দরজা খোলা, আলমারি-ড্রয়ারের তালা ভাঙা। ৩টি কক্ষ থেকে লুটপাট করা হয়েছে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার।
একই রাতে একই কায়দায় লুটের ঘটনা ঘটে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ মাইজহাটি গ্রামের রোকন উদ্দিন ভূঁইয়ার বাড়িতে ও মগটুলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের নেসার উদ্দিনের বাড়িতে।
এর পর দিন ১১ জানুয়ারি বিল খেরুয়া গ্রামে ঘটে ফের একই ঘটনা। এদিন তারা হানা দেয় স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল খায়ের ও এক কৃষক গোলাম মহিউদ্দিনের বাড়িতে। ১৪ জানুয়ারি মাইজহাটি এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবুলের বাড়িতে চলে লুটপাট, অচেতন করা হয় আক্রাম হোসেন নামের এক স্কুলশিক্ষকের পরিবারকেও। লুটপাট হওয়া প্রতিটি বাড়ির পাশেই ফেলে যাওয়া হতো হলুদ, লবণ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন