মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ৫ মাস পর গ্রেপ্তার বৃদ্ধ
ময়মনসিংহে ধোবাউড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ৫ মাস পর এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার হোসেনের (৬৪) বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর কাগমারা গ্রামে। বিয়ের পর তিনি ধোবাউড়ার রাণীপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। এর আগে রোববার (২১ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ১৮ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না, পুলিশ ঠিকই খুঁজে বের করলো নারীকে
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী কিশোরী ধোবাউড়ায় কলসিন্দুরে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে। সংসারে অভাবের কারণে মাঝে মধ্যে কলসিন্দুর বাজারে খাবারের দোকানে থালা-বাসন ধোয়ামোছার কাজ করতেন। একই বাজারে দেলোয়ার ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
প্রায়ই দেলোয়ার ভুক্তভোগী কিশোরীকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। কিশোরীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার ভাঙারির দোকানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে পরদিন ২৭ অক্টোবর ধোবাউড়া থানায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে ময়মনসিংহের পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলার পর পিবিআই পুলিশ উদ্যোগী মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ঘটনার প্রায় ৫ মাস পর আসামি দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন