• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

হাতির আঘাতে শিক্ষার্থী নিহত: বন বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য

আরটিভি নিউজ

  ১৮ মার্চ ২০২১, ২০:২৮
অভিষেক পাল।

গত ১১ মার্চ রাঙ্গামাটির কামাইল্যাছড়ি বেড়াতে এসে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান রাজধানীর তেজগাঁও টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভিষেক পাল।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ জানান, ওই ঘটনাটি নিয়ে আমরা অভিষেকের পাঁচ বন্ধু ও সিএনজি অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া কামাইল্যাছড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়।

তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী ১০ মার্চ রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বেড়াতে যান। পরদিন সকালে একটি সিএনজি অটোরিকশায় কাপ্তাই থেকে হয়ে রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলেন তারা। পথে কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কের কামাইল্যাছড়ি এলাকায় তারা দুটি হাতি দেখতে পান। এরমধ্যে একটি বাচ্চা হাতিও ছিল। হাতি দেখে অভিষেক পালসহ তিনজন অটোরিকশা থেকে নামেন। অভিষেকসহ তিন ছাত্র হাতিটির কাছাকাছি যান। অভিষেক প্রাণীটির সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। হঠাৎ হাতিটি চিৎকার শুরু করে। তখন ভয়ে বনের দিকে দৌঁড় দেন অভিষেক। হাতিটিও অভিষেকের পেছন পেছন বনের দিকে যায়। বনের মধ্যে অভিষেককে শুঁড় দিয়ে আঘাত করে। সেখানেই অভিষেকের মৃত্যু হয়। অভিষেকের মুখ ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বন বিভাগের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়,

“প্রতিবেদনের মাধ্যমে বনবিভাগের 'সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা'র অব্যবস্থাপনা এবং ওই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ফিটনেসহীন গাড়ির অব্যবস্থাপনাকে দায়ী না করে 'সেলফি তোলার মিথ্যা অভিযোগকে' সত্য বলে প্রচার করে খুব সুক্ষ্মভাবে একজন নিহতকে দোষারোপ বা ভিক্টিম ব্লেইমিং করা হয়েছে এবং ভয়ানকভাবে 'তথ্য ম্যানুপুলেশন' করে প্রকাশ করা হয়েছে।

সিএনজি চালকের সিএনজি (ফিটনেসবিহীন যান) রাস্তায় বিকল হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার জন্য বনবিভাগের নিরাপত্তা পদ্ধতি ও সতর্ক সংকেতের অব্যবস্থাপনা এবং ঘাটতি দায়ী। এই ফিটনেসহীন সিএনজি না হয়ে যদি তা যথা সময়ে চালু হত, তাহলে হয়তো নিহতের ঘটনা ঘটত না। অর্থাৎ, যেখানে সিএনজি চালক এবং বনবিভাগের ব্যবস্থাপনাপর্ষদ নিজেরাই প্রশ্নবিদ্ধ ও অভিযুক্ত।

মূল ঘটনায় জানা যায়, সিএনজি করে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হাতি সামনে চলে আসে। এতে করে তারা ৬ জনই আতঙ্কে পড়ে যায়। এ সময় সিএনজি ইউটার্ন নিলেই বিকল হয়ে যায়।পরবর্তীতে হাতি কাছে চলে থাকলে, বারবার চেষ্টা করেও সিএনজি চালু হচ্ছিল না। হাতি তেড়ে আসছিল, তাই তারা সিএনজি থেকে নেমে চারজন চারদিকে দৌড় দেয় এবং হাতি পিঁছু নেয় অভিষেক পালের। বাকি দুজন সিএনজিতেই বসা ছিল। বনবিভাগের পক্ষ হতে হাতি কখন চলাচল করতে পারে এ রকম কোনও সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি এবং সিএনজি চালকও এ ব্যাপারে আগে থেকে কিছু না বলায় নেহায়েত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া ছাত্রদের পক্ষে পূর্ব থেকে এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগও ছিল না”।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদলিপিটি তুলে ধরা হলো-

এম/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh