শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ, ইউএনও’র বিরুদ্ধে উত্তাল হাতিয়া
হাতিয়া দ্বীপ সরকারী কলেজের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবীতে দ্বিতীয় দিনেও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে গত বুধবার থেকে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে হাতিয়া কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। অব্যাহত আন্দোলনের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে বিক্ষোভ করে তারা। এতে বক্তারা তাদের দাবী মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন।
ভুক্তভোগী আজগর হোসেন বলেন, কিছুদিন পূর্বে একটি ছেলের জন্ম সনদ আবেদন সত্যায়িত করে দেই। তাতে বয়সের একটু গরমিল ছিল বলে জানতে পারি। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন আমাকে কার্যালয়ে ডাকেন। সত্যায়িত করার বিষয়টি ভুল হয়েছে বলার পরও আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করেন তিনি। এক পর্যায়ে অফিসের কর্তব্যরত আনসারকে দিয়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি জোর পূর্বক আমার ভুলের জন্য লিখিত মুছলেখাও নেন। পরে কলেজের উপাধ্যক্ষ তোফায়েল আহম্মেদ গিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে আনেন। এতে আমি খুবই অপমানিত হয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, কলেজের শিক্ষক আজগর হোসেন ভুয়া জন্মসনদের আবেদন সত্যায়িত করায় তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তেজিত হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ডেকে বিষয়টি দেখানো হয়। সেও বিষয়টি দেখে ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন। পরে তারা চলে যান। এখানে কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে রাস্তায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে।
এসআর/
মন্তব্য করুন