ঢাকায় প্রেম করে বিয়ে, শ্বশুরবাড়ি দেখতে গিয়ে নববধূ উপহার পেলেন তালাকনামা!
ঢাকাতে প্রেম করে বিয়ে করেন দু’জন। প্রিয় স্বামীর বাড়ি দেখতে চাইলেও কখনো নিয়ে আসেননি। মনে যখন শ্বশুরবাড়ি দেখার আগ্রহ তখন কি আর বাধা মানে। প্রায় একবছর পর নববধূ প্রথমবারের মতো এলেন শ্বশুরবাড়ি। আসার পর শ্বশুর তার হাতে ধরিয়ে দিলেন তালাকনামা। কিন্তু স্বামী আর শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে রাজি হননি এই নববধূ। এরপর জানাজানি হলে বিষয়টি গড়ায় থানায়। শুক্রবার (৫ মার্চ) এই ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়।
ভুক্তভোগী নববধূ জানায়, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মার্কেটে গিয়ে পরিচয় হয় নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে। এরপর প্রেম। ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের এক নিকাহ নিবন্ধকের কাছে ৩ লাখ টাকার কাবিনে বিয়ে হয়। এরপর দু’জনে মিলে একটি ভাড়া বাসায় সংসার জীবন শুরু করেন।
গৃহবধূ আরও জানান, স্বামী প্রায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। তিনিও শ্বশুরবাড়ি আসার বায়না ধরেন স্বামীর কাছে। তবে তার স্বামী নানা অজুহাত দেখাতেন। এর মধ্যে একদিন স্বামী গ্রামের বাড়িতে এসে আর ফেরেননি। পরে তিনি এক আত্মীয়কে নিয়ে স্বামীর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা মতো নান্দাইলে আসেন গত শুক্রবার সকালে। স্ত্রীর আসার সংবাদ পেয়ে স্বামী পালিয়ে যান। ঘরে প্রবেশ করে শ্বশুর-শাশুড়িকে পরিচয় দিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন নববধূ। এর পরদিন শনিবার (৬ মার্চ) শ্বশুর গত এক মাস আগে স্বাক্ষরকৃত একটি তালাকনামা ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নববধূ তালাকনামা হাতে পেলেও শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হননি। তাই শ্বশুর সুলতান উদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।পুলিশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দু’ঘণ্টা পর মামা পরিচয়ে এক ব্যক্তির জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এই বিষয়ে নান্দাইল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, সুলতান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এক নারীর অনধিকার প্রবেশের লিখিত অভিযোগে প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এর পরে ওই নারীর মামার জিম্মায় তাকে দেওয়া হয়।
জিএম
মন্তব্য করুন