• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাহায্য নয়, কাজ চান নেত্রকোনার বিড়ি শ্রমিকরা

আরটিভি নিউজ

  ০৪ মার্চ ২০২১, ২০:৪৮
ফাইল ছবি

‘ভিক্ষা বা সাহায্য চাই না, কাজ চাই’ শ্লোগানে নেত্রকোনায় মানববন্ধন করলো, বিড়ি শ্রমিকরা। সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে তারা অভিযোগ করেন, বিড়িতে অতিরিক্ত করের কারণে বাজার চলে যাচ্ছে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলোর হাতে। ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-জাপন করছে বিড়ি শ্রমিকরা।

নেত্রকোনা জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল গফুর এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মো: হারিক হোসেন, নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার খান, শ্রমিকলীগ নেতা আশরাফ আলী খান প্রমুখ। বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নেত্রকোনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি কারখানায় অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলঙ্গ ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিড়িকে শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট বকৃতায় বিড়ির উপর কর কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে এই শিল্পের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা। যা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

শ্রমিকরা আরো বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ নিম্ন স্তরের সিগারেটে মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের সিগারেটে কোন বৃদ্ধি করা হয়নি। সমগোত্রীয় পণ্য হওয়া সত্বেও চরম বৈষম্যমূলকভাবে বাড়ানো হয়েছে বিড়ির দাম। মাত্রাতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির ফলে নকল বিড়িতে বাজার সয়লাভ হয়ে গেছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অসহায় শ্রমিকদের কর্ম রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে অতিরিক্ত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারক দেয়া হয়। অন্যান্য দাবিগুলো হলো, শ্রমিক মজুরী বাড়ানো, সপ্তাহে ৬ দিন কাজের ব্যবস্থা, বিড়িতে ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh