• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ খাদ্য অধিদপ্তর

হিলি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ মার্চ ২০২১, ১৪:২৩
হাকিমপুর×উপজেলা×খাদ্য×আমন×চাল×ধান×কেজি×সক্ষম×
ছবি সংগৃহীত

শষ্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। দিনাজপুরের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ এবং ঘোড়াঘাট উপজেলা। এবারে আমন মৌসুমে খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিলো চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে খাদ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। চারটি উপজেলায় কিছু ধান-চাল সংগ্রহ হলেও হাকিমপুর এবং বিরামপুর উপজেলা লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারেনি। খোলা বাজারে ধান চালের দাম বৃদ্ধি থাকায় এই চার উপজেলার খাদ্য বিভাগকে কৃষকরা এবং মিলাররাও চাল দেননি বলে অভিযোগ খাদ্য বিভাগের।

হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার যোসেফ হাসদা আরটিভি নিউজকে জানান, এবার আমন মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার জন্য আমন চাল (সিদ্ধ) ২৭৯ মেট্রিক টন, আমন চাল (আতপ) ৫৩ মেট্রিক টন এবং আমন ধান ৩৮০ মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। কিন্তু এখন পর্যন্ত খাদ্য বিভাগের নিবন্ধিত ১২ মিলের মধ্যে সাতটি মিল তাদের চাল দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলাতে আমন চাল (সিদ্ধ) ৬৫ মেট্রিক টন ৮৫০ কেজি, আমন চাল (আতপ) ২৭ মেট্রিক টন ৫০ কেজি এবং আমন ধান ১ মেট্রিক টন কিনতে সক্ষম হয়েছে। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকার কারণে কৃষকরা খাদ্য বিভাগকে ধান-চাল দিচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।

বিরামপুর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা রবিউল আলম আরটিভি নিউজকে জানান, আমন মৌসুমে এই উপজেলাতে আমন চালের (সিদ্ধ) লক্ষ্যমাত্রা ছিলো এক হাজার ৯৪৪ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ১২ মেট্রিক টন ১৫০ কেজি, আমন চাল (আতপ) লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১৫ মেট্রিক টন এর বিপরীতে ২৯ মেট্রিক টন ৩৫০ কেজি অর্জন হয়েছে এবং আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮৩২ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৮০০ কেজি। এই উপজেলাতে মোট ১৭টি মিল চুক্তিবদ্ধ করে। এর মধ্যে একটি আতপ। ১৭টি মিলের মধ্যে ১৪টি মিল চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে ব্যর্থ মিলগুলো চাল দিতে পারবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

নবাবগঞ্জ উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা হালিমুর রহমান আরটিভি নিউজকে জানান, আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জ উপজেলার জন্য আমন ধান (সিদ্ধ) এক হাজার ৭৫৯ মেট্রিক টন এবং আমন ধান ৯৫৯ মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। সেইসঙ্গে ২৭টি মিলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করেন খাদ্য বিভাগ। তার মধ্যে ২২টি মিল মালিক তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হলেও পাঁচটি মিল তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এই উপজেলাতে আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৫৯ মেট্রিক টন ৭৭০ কেজি, ধান ১২৮ মেট্রিক টন ৫২০ কেজি। তিনি আরও জানান, খাদ্য বিভাগের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা এবার ধান বিক্রয় করতে রাজি হয়নি।

ঘোড়াঘাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আতোয়ার হোসেন আরটিভি নিউজকে জানান, এবার আমন মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলাতে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এই উপজেলাতে আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫১৯ মেট্রিক টন তার বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৪৩৫ মেট্রিক টন। আমন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২২৫ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৮৫ মেট্রিক টন ৭২০ কেজি এবং আমন চাল (আতপ) ৬ মেট্রিক টন ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।

খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধিত মিলার সংখ্যা ১৭টি এর মধ্যে ১৬টি আমন সিদ্ধ চালের এবং একটি আতপ চালের জন্য। তার মধ্যে ছয়টি মিলার চাল দিতে পারেনি।

তিনিও আরও জানান, ধান-চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ধান-চাল বিক্রি করেনি।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডিবি কার্যালয়ে এসেও কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাতাল নারীরা
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ : চালক-হেলপার আটক
রাজধানীসহ ৮ অঞ্চলে কালবৈশাখীর আশঙ্কা, সতর্ক সংকেত
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট
X
Fresh