অভিযান শুরুর খবর পেয়েই সরে গেছেন দখলদাররা
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার লালদিয়া চরে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে নিজ উদ্যোগে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়েছেন অবৈধ দখলদাররা।
আজ সোমবার সকাল থেকে বন্দরের ৫৫ একর জমি উদ্ধারে অভিযান শুরুর কথা থাকলেও সেখানকার বাসিন্দারা চলে যাওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান আর চালাতে হয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও মাইকিং করার পর থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেন চরের বাসিন্দারা।
এর আগে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে চর এলাকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে চলতি বছরের ৯ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পতেঙ্গায় সাগর তীরবর্তী এলাকা লালদিয়া চরে গেলো ৪৮ বছর ধরে বসবাস করছে প্রায় ২৩শ’ পরিবার।
তবে চর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ; তাদেরকে পুঃনবাসন না করেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি জোনে ভাগ করে ৫৫ একর জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও মাইকিং শুরু করার পর থেকেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেন চরের বাসিন্দারা।
লালদিয়াচর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘আজ লালদিয়ার চর ছেড়ে আমরা চলে যাচ্ছি। ১৪ হাজার মানুষকে পথে নামতে হয়েছে। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে গেলো ২০ দিন চেষ্টা করেছি। অহিংস আন্দোলন করেছি। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে আমরা চলে যাচ্ছি। আমরা দেশের জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছি। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা পুনর্বাসন চাই। খাস জমি চাই।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘চরের বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছে। বল প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি। খালি জায়গা অন্য কেউ যেন দখল করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসাররা পাহারা দিবে।’
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বোট ক্লাব এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জেবি
মন্তব্য করুন