• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রেম মেনে নিতে না পারায় মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন মা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৪০
মা×সাঘাটা×ছুরিকাঘাত×মামলা×হত্যা×জেল×হাজত×পলাতক×
ছবি আরটিভি নিউজ

গাইবান্ধার সাঘাটায় মায়ের ছুরিকাঘাতে আতিকা সুলতানা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আতিকা সুলতানা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিন উল্লা গ্রামের কারী আমিনুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় মা হামিদা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আতিকা সুলতানা স্থানীয় উদয়ন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। তার সঙ্গে একই এলাকার এক ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি পারিবারিকভাবে মেনে নিতে পারেনি আতিকার পরিবার। শুক্রবার বিকেলে এ বিষয় নিয়ে আতিকার সঙ্গে মা হামিদা বেগমের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। কথাকাটাকাটি-বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মা হামিদা বেগম ধারালো ছুরি দিয়ে আতিকার গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

পরে সাদিয়ার বাবা আমিনুল ইসলাম (৪১) বাদী হয়ে সাদিয়ার মা হামিদা বেগম এবং বড় ছেলে তানজিল আহম্মেদকে (২১) আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ শনিবার সকালে হামিদা বেগমকে পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নয়ন কুমার সাহা জানান, প্রেমঘটিত কারণে সাদিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় লোকজন এবং নিহত সাদিয়ার বাবার তথ্যের ভিত্তিতে সাদিয়ার মা হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাই তানজিল আহম্মেদ পলাতক রয়েছেন।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, এই ঘটনায় মা হামিদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আতিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে আতিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২৭
তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য নাকচ করলো ইরান
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
X
Fresh