রাবির এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেক অধ্যাপকের থানায় জিডি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম বকসীর বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।
অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের করা ওই জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় <zferdous262@gmail.com> ই-মেইল থেকে আমার নামে একটি কুরুচিপূর্ণ অসত্য বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মানহানিকর বক্তব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যদের নিকট প্রচার করা হয়। একই আইডি থেকে পরের দিন একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ দুপুর ১টায় একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনায় রাজাকারের দল নির্বাচন বর্জন করুন শিরোনামে আরও একটি ই-মেইল পাঠানো হয়।
প্রেরক হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস নামটি দেখা যায় এবং দ্বিতীয় ই-মেইলে প্রফেসর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নামটি বার্তাটির লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় আমি বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত মেইলটি পাঠাননি বলে আমাকে অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন, এই নামে তার কোনো আইডি নেই। প্রকৃতপক্ষে তার আইডি হল <zferdous69@yahoo.com>, যা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রকাশনায় উল্লেখ আছে।
তিনি নিজেই এই ধরনের অপপ্রচারের শিকার হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ও ইমেইল আইডি সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেন। ওই মেইলটি ভিত্তিহীন বলেও অভিহিত করেন। জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ই-মেইলের সংযুক্তি হিসেবে প্রপার্টিস পরীক্ষা করে রেজাউল করিম বকসী নামটি লেখক হিসেবে দেখতে পাই।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক কর্মরত আছেন। গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখের ই-মেইল বার্তা দুটি দ্বারা একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনার নামে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। বার্তাগুলো আমাকে রাজাকার বলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচনে আহ্বায়ক প্রার্থী হিসেবে আমাকে, আমার পরিবারকে এবং আমাদের প্যানেলের সদস্যবৃন্দকেও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচারের ফলে শিক্ষকমণ্ডলীর কাছে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে এবং আমি এই নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওই ই-মেইল আইডি থেকে আমার বিভিন্ন সহকর্মীদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপাত্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করে আমার পরিবারের সদস্য ও আমার প্যানেলের সদস্যদের ব্যক্তিগত সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একই ঘটনায় এর আগে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেনকে দেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে ভুক্তভোগী নিজেই একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেনকেই জিডিরও তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন