শাল্লায় একই স্থানে দুইপক্ষের কীর্তন: ১৪৪ ধারা জারি
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামে একই স্থানে একই সময়ে দুইপক্ষ কীর্তনের আয়োজন করায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. আল মোক্তাদির হোসেন ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাল্লা উপজেলার পার্শ্ববর্তী ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামে প্রায় শতবর্ষ ধরে মহাদেব গাছতলায় বিশ্বশান্তি কামনায় প্রতি বছরের মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে অষ্ট প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হারিনাম কীর্তন উদযাপিত হয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার থেকে কীর্তন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবছর গ্রাম্য বিরোধকে কেন্দ্র করে একই বংশের দুই ভাই মহাসেন সরকার ও শ্যামাপ্রসাদ সরকারের পক্ষ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পরে গ্রামের লোকজন। গ্রামের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে ব্যর্থ হয় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিরোধের জের ধরে গ্রামের মহাদেব গাছতলায় একই সময়ে গ্রামের দুই পক্ষ কীর্তন করতে চায়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের মহাদেব গাছতলা এলাকায় আজ শুক্রবার বিকাল থেকে আগামী (২৮ ফেব্রুয়ারি) রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত সব ধরনের সভা, সমাবেশ, কীর্তনসহ সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মোক্তাদির হোসেন। কীর্তনস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করায় এই বছর আর কীর্তন হচ্ছে না।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘গ্রামের মহাসেন সরকার ও শ্যামাপ্রসাদ সরকারের লোকজনের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে একই স্থানে দুইপক্ষ কীর্তন করতে চাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। তাই গ্রামে ১৪৪ ধারা জারির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মোক্তাদির হোসেন ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রামের দুইপক্ষ একই স্থানে একই সময়ে কীর্তন করতে চাচ্ছে। সেই জন্য গত কয়েকদিন যাবৎ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের মহাদেব গাছতলা এলাকায় তিন দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন