কাটা হলো ৩ হাজার ফলন্ত সবজি গাছ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক কৃষকের প্রায় তিন হাজার ফলন্ত সবজি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সবজির ভরা মৌসুমে ফলসহ গাছগুলো কেটে ফেলায় নি:স্ব হয়ে পড়েছেন আশিদ্রোন ইউনিয়নের পাড়ের টং গ্রামের কৃষানি মো. জাহেরা খাতুন। রাতের আঁধারে তার চাষকৃত তিন একর জমির ফসলি গাছগুলো কেটে এবং উপড়ে ফেলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের পাড়ের টং গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন হাজার করলা, শশা, চাল কুমড়া, চিচিংগাসহ বিভিন্ন সবজি গাছ মাটিতে পড়ে রয়েছে।
সব গাছের গুড়ি কেটে এবং উপড়ে ফেলে মাটিতে রাখা হয়েছে। গাছগুলোতে ফল ও ফুল দুটোই রয়েছে।
সবজি চাষি মোছা জাহেরা খাতুন বলেন, ঋণ নিয়ে তিন একর জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছি।
ভরা ফলের সময়ে রাতের আঁধারে আমার ক্ষেতের ফসলগুলো কেটে ফেলায় আমি পরিবার নিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছি।
এই গাছগুলো বানিয়াচং উপজেলার গুনই গ্রামের আনোয়ার আলী, পাড়ের টং এর ইনচার আলী, কাদির মিয়া গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ফলন্ত সবজি ক্ষেতের সবগুলো গাছই কেটে ফেলেছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন ও ৭,৮,৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য শিল্পী পাল বলেন, আনোয়ার মিয়া জাহেরা বেগমের আত্মীয় হওয়ায় এবং আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ায় জাহেরা খাতুনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু জাহেরা খাতুন এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আনোয়ার মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ ঘটিয়েছে।
পাড়ের টং বাজারের সভাপতি মো. শাহ আলম, স্থানীয় একটি হাসের ফার্মের মালিক মো. নুরুল হক, মো. কবীর মিয়া ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. বসির মিয়া বলেন আনোয়ার মিয়া খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তাকে গ্রাম থেকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। তারপরও সে রাতের আঁধারে এসে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।
মোছা জাহেরা খাতুন বলেন, আমার ফলন্ত সবজি গাছগুলো কাটার ফলে আমি পথে বসে গিয়েছি। আমি কিভাবে মানুষের ঋণ শোধ করবো বুঝতে পারছি না। সবজি গাছগুলো কেটে ফেলায় আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন