ধর্ষণে অজ্ঞান স্কুলছাত্রীকে বাসার সামনে ফেলে রেখে যায় ধর্ষকরা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো পাটগাতীস্থ সঞ্চারণ কোচিং সেন্টারে এই কিশোরী পড়া শেষ করে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে তিনজন যুবক নতুন বাজার বটতলা নামক স্থান থেকে তার পথ রোধ করে। ইজিবাইক চালকের সহযোগিতায় চোখ বেঁধে তাকে গোপন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার নাকে চেতনানাশক স্প্রে করা হয়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে বন্ধুদের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে রাত আটটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে তার বাসার সামনে ফেলে রেখে যান তারা।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাত নয়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক ছুটিতে থাকায় এবং টুঙ্গিপাড়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকায় তাকে মাহিন্দ্রাতে করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আমি গতকাল রাতে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিত্রে আসামিদের ধরার জোর প্রচেষ্টা রয়েছে। মেডিকেল টেস্টের জন্য ভিকটিমকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন