স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মো. ফোরকান উদ্দিনকে ফাঁসি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিউর রহমান। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিউর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মো. মজিবুর রহমান সরকারের কন্যা ভিকটিম মর্জিনা বেগম ওরফে বিথির সঙ্গে পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের ছেলে আসামি ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খানের মুসলিম শরিয়ত মতে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
মর্জিনার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী মো. মোস্তফিজুর নামে একটি ছেলে ছিলো। সে তাদের সঙ্গে থাকতো। ফোরকান ও মর্জিনা লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের খলির শেখের বাড়ি ভাড়া থাকতো। আসামি ফোরকান লক্ষ্মীপাশার মিথুন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।
২০১৫ সালে আসামি ও ভিকটিম মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনার জখমপ্রাপ্ত রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরে খবর পেয়ে মামলার বাদী মো. মজিবর রহমান এসে পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ বুঝে নিয়ে লক্ষ্মীপাশা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে। পওে ভিকটিমের ছেলে পাঁচ বছর বয়সী মো. মোস্তফিজুর জানান, আসামি ফোরকান তার মাকে বটি, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ চূড়ান্ত রির্পোট পেশ করে।
পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইড আসামি ফোরকানকে গ্রেপ্তার করে এবং আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিআইডি পুলিশ পেনাল কোডে ৩০২ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সাজা প্রদান করেন।
জেবি
মন্তব্য করুন