প্রাক্তন স্বামী রক্তাক্ত করলেন স্ত্রীকে
চুয়াডাঙ্গায় প্রাক্তন স্বামীর ধারালো ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন স্ত্রী সীমা আক্তার (২৮)। এতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে তার মুখমণ্ডল। এ ঘটনার অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সীমা আক্তারকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সীমা আক্তার (২৮) ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের মুনছুর আলীর মেয়ে। তিনি চুয়াডাঙ্গায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন। আর অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী মামুন আলী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ২ বছর আগে তার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মামুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। গত ৩০ জানুয়ারি পারিবারিক কলহের জেরে সীমা আক্তারের সাথে স্বামী মামুন আলীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এ ঘটনার সূত্র ধরে মামুন তার স্ত্রী সীমাকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্কে ডেকে নেয়।
এসময় তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার হয়। এক পর্যায়ে সীমা খাতুনকে ধারালো ছুরি দিয়ে মুখের বাম পাশে আঘাত করে মামুন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপরে অভিযুক্ত মামুন ছুরি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীমা আক্তার জানান, আমার একবার বিয়ে হয়েছিল। আর একটি ছেলেও আছে। সেই স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া পর গত ২ বছর আগে মামুনের সাথে বিয়ে হয়। মামুনেরও একবার বিয়ে হয়েছিল। তারও একটি সন্তান রয়েছে। আমার বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে মামুনের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে মামুন প্রায়ই বিভিন্নভাবে আমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, সীমা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তার বাম দিকের মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত হয়। অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ছুরি দিয়ে নয় দুজনের বাকবিতণ্ডার জেরে মামুনের হাতে থাকা ধারালো চাবির রিং দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হন সীমা। পরে অভিযুক্ত মামুনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়৷ তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) সদস্য ছিলেন। ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামুনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন