• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নাগামরিচের ঝাঁঝ এখন শ্রীমঙ্গলের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে

চৌধুরী ভাস্কর হোম, মৌলভীবাজার

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৬

সুগন্ধি আর ঝাঁঝে ভরপুর নাগামরিচ। এটি এমন এক ফসল যার মাঝে রয়েছে প্রচুর ঝাল, স্বাদ ও ঘ্রাণের সমন্বয়। শ্রীমঙ্গল তথা সিলেটে এর আঞ্চলিক নাম নাগামরিচ। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে এটি ‘বোম্বাই মরিচ’ বা ‘ফোটকা মরিচ’ নামে পরিচিত। ব্যাপকভাবে চাষকৃত ঐতিহ্যবাহী নাগামরিচের ঝাঁঝ এখন শ্রীঙ্গলের গণ্ডি পেরিয়ে স্থান করে নিয়েছে বহির্বিশ্বে। দেশে নাগা মরিচ ঝাল প্রিয় মানুষের প্রিয় খাদ্য ছাড়াও নাগা মরিচের তৈরি আচারের চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইউরোপে বসবাসকারী বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে সাতকরা ও নাগা মরিচের আচার সর্বজনপ্রিয়।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নাগামরিচের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের রা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ব্যস্ত রয়েছে নাগামরিচ চাষে। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় ছোট-বড় অনেক চাষি এখন নাগামরিচের চাষ করেন। লেবু এবং আনারসের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে এখন এই মরিচ চাষ করা হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা জুড়ে।

আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যায় ছেলের ফাঁসি, বাবা-মাসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন

শ্রীমঙ্গলের নাগামরিচ রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। ফলে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিরা নাগামরিচ চাষে হয়ে উঠেছেন আগ্রহী।

উপজেলার দিলবরনগর, মোহাজেরাবাদ, বিষামনি, রাধানগর এবং ডলুছড়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগা মরিচ চাষে। চাষিরা জানান, অল্প খরচে এটি একটি লাভজনক ফসল। বিশেষ করে লেবু গাছের নীচে ও পতিত জায়গায় এ ফসলের চাষ বেশি করা হয়।

সব মানুষের কাছে এই নাগামরিচের কদর আলাদা। এ নাগা মরিচ দিয়ে সুস্বাদু বিভিন্ন ধরনের আঁচার তৈরি করা হয়। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে লন্ডন আমেরিকা কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বাঙালি অধ্যুষিত দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সাধারণ মরিচ থেকে বহুগুণ বেশি ঝালের কারণে ২০০৭ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করে এবং নাগামরিচকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

মোহাজেরাবাদ এলাকার কৃষক শাহজান মিয়া বলেন, নাগা মরিচ সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে এর থেকে অনেক লাভ করা যায়। গতবছর এক হাজার নাগা মরিচের চারা চাষ করে প্রায় ২ লাখ ৮০ টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। যেখানে খরচ হয়েছিল ৬২ হাজার টাকার মতো। রাধানগর এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, গতবছর ১৫শ' নাগা মরিচের চারা লাগিয়ে ছিলাম। যা থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো মরিচ বিক্রি করেছি। লাভজনক হওয়ায় এবারও ৩ হাজার গাছের চারা লাগিয়েছি।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় আরও অধিক পরিমাণে ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নাগা মরিচ বা বোম্বাই মরিচ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি ঠিলা বেষ্টিত এ জেলা নাগা মরিচ চাষের সম্পূর্ণ উপযোগী। বর্তমানে জেলায় যে পরিমাণ নাগা মরিচ চাষ হচ্ছে তাতে পাওয়া যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

আরও পড়ুনঃ মা গিয়ে দেখেন জলিলের খাটের উপর শুয়ে আছে মেয়ে

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, মৌলভীবাজারে আরও অধিক পরিমাণে ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নাগামরিচ বা বোম্বাই মরিচ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইন্টারনেট ও ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ
স্পেনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৯ মার্চ)
নিউইয়র্কে বাংলাদেশির মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বক্তব্যে ভাইয়ের বিরোধিতা
X
Fresh