• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

'একুশ' এখন গৃহিণী শাকিলার

শানে আলম সজল, চট্টগ্রাম

  ২৯ মার্চ ২০১৭, ২২:৩৫

অবশেষে ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক 'একুশকে' লালন পালনের দায়িত্ব পেলেন গৃহিণী শাকিলা আক্তার। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ১৩জন আবেদনকারীর শুনানি শেষে শাকিলা আক্তার ও ডা. জাকিরুল ইসলাম দম্পতিকে শিশুটির দায়িত্ব দেন।

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে ক'জন যুবক ( রাত ১২টার দিকে) হঠাৎ রাস্তার পাশে নালায় দেখতে পান ফুটফুটে এক শিশুর নড়াচড়া। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।

পরে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর মাহমুদ শিশুটির নাম রাখেন, 'একুশ'। কিন্তু মা-বাবার পরিচয় না থাকায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে শিশু একুশের দায়িত্ব দেন আদালত। মা-বাবাহীন শিশুটি হাসপাতালের ৩২নং ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্স, আয়ার আদর যত্নে একটু একটু করে বেড়ে উঠছিল।

তবে হাসপাতালে অধিক সময় থাকা শিশুটির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় তাকে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন আদালত। এরপরই শিশুটিকে জিম্মায় পেতে মঙ্গলবার ১৬ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৩ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাকী ৩ জন অনুপস্থিত থাকায় তাদের আবেদন বাতিল করেন আদালত।

এই ১২ জন আবদেনকারীর মধ্যে ভবিষ্যতে যাদের মা হবার সম্ভাবনা নেই, যারা সন্তান লালন পালনে সক্ষম এবং নিঃসন্তান দম্পতি এমন অভিভাবকদেরও আদালতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ।

১৯ বছর ধরে নিঃসন্তান শাকিলা আক্তার ও ডা. জাকিরুল ইসলাম দম্পতি শিশু একুশকে জিম্মায় পেয়ে খুশিতে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন। শিশুটিকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শাকিলা আক্তার ও ডা. জাকিরুল ইসলাম দম্পতি।

এদিকে, শিশু একুশ মা-বাবার ঠিকানা খুঁজে পাওয়ায় খুশি শিশুটিকে উদ্ধার করা আকবরশাহ থানা পুলিশের ওসি। শিশু একুশ ঠিকানা খুজে পেলেও এমন নিষ্ঠুর ঘটনার শিকার যেন না হয় আর কোন শিশু এমনটাই প্রত্যাশা তার।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh