• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাবেক প্রেমিকার হাতেই খুন হন আলাউল

জয়নুল আবেদীন, চট্টগ্রাম

  ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৭:০৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আলাউদ্দীন চৌধুরী আলাউলের মৃত্যু হয়েছে মূলত পরকীয়ার কারণে। চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার শহীদ নগর এলাকায় গেলো ২২ মার্চ রাতে ওমান প্রবাসী আবু সৈয়দের মালিকানাধীন ভবনে খুন হন আলাউল।

আলাউল হত্যার সঙ্গে জড়িত রুম্পাসহ ৪ খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জন হলেন আলাউলের সাবেক প্রেমিকা ইয়াসমিন আক্তার রুম্পা, রুম্পার স্বামী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইকবালের দুই সৎ ভাই তৈয়ব ও হেলাল। ইকবালের আরেক সৎ ভাই মাসুদ পলাতক রয়েছেন।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন আরটিভি অনলাইনকে জানান, পরকীয়ায় আলাউলের মৃত্যুর মূল কারণ। তিনি বলেন, আলাউলের সঙ্গে রুম্পার প্রথম পরিচয় হয় ২০০৭ সালে। আলাউল এইচএসসির পরীক্ষার্থী এবং রুম্পা ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। তখন থেকেই আলাউল রুম্পাকে প্রাইভেট পড়াতেন। একটানা ৩ বছর পড়ানোর কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যেটি অনেকদূর পর্যন্ত গড়ায়।

এরই মধ্যে ২০১০ সালে হাটহাজারী থানাধীন চৌধুরী হাটের ওমর সাদেকের সঙ্গে বিয়ে হয় রুম্পার। ৫ বছর কাটে তাদের সংসার জীবন। এই ৫ বছরে আলাউলের সাথে রুম্পার পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জেনে স্বামীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এরপরেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকায় ২০১৬ সালে রুম্পাকে ডিভোর্স দেয় ওমর সাদেক।

এরপর আবারো রুম্পা সংসার পাতে মোহাম্মদ ইকবালের সঙ্গে। কিন্তু কিছুতেই দমানো যাচ্ছিল না আলাউলকে। রুম্পা সংসারে একটু মনযোগী হয়ে উঠলেই আলাউলের পীড়াপীড়েতে আবারো পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয় আলাউল আর রুম্পার মধ্যে। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনে যাওয়ায় সংসারে সৃষ্টি হয় অশান্তি।

এদিকে, রুম্পা স্বামীকে জানায় আলাউলের অব্যাহত পীড়াপীড়িতে সে অতিষ্ঠ। আলাউলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান রুম্পা। পরবর্তীতে মোহাম্মদ ইকবাল ও রুম্পা দুজন মিলে পরিকল্পনা নেন আলাউলকে হত্যা করার। ২২ মার্চ বুধবার নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পশ্চিম শহীদনগর আবু সৈয়দের ভবনে নতুন বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে আলাউলকে আসতে বলেন রুম্পা। ফোন পেয়ে শহীদ নগর গিয়ে পৌঁছেন আলাউল। সে বাসায় আগে থেকে বসা ছিল স্বামী ইকবালসহ ৩ সৎভাই তৈয়ব, হেলাল ও মাসুদ।

শহীদনগর নতুন বাসায় আলাউল দরজায় নক করলে দরজা খুলে দেন রুম্পা। পরে ভিতরের রুম থেকে ইকবালসহ চার ভাই তাকে ঝাপটে ধরেন। এই ফাঁকে চলে যান রুম্পা। মেয়েটি যাবার পরপরই আলাউলের হাত পা বেঁধে ফেলেন খুনিরা। পরে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে আলাউলকে হত্যা করে পালিয়ে যান ইকবাল ও তার ভাইয়েরা।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার পর ৬দিনের মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। খুনের সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর খুনি মাসুদ নামের একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আরকে/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh