‘একুশ’ কার, জানা যাবে কাল
জল্পনা-কল্পনার নাম ‘একুশ’। কে এই একুশ? যাচ্ছে কার কাছে? নির্ধারণ হবে আগামীকাল বুধবার।
একুশ নামে নবজাতক পাওয়া যায় চট্টগ্রামে ময়লার একটি ডাস্টবিন থেকে। একে পেতে আদালতে আবেদন করেন অনেকগুলো পরিবার।
‘একুশকে’ জিম্মায় নেয়ার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামীকাল বুধবার এই বিষয়ে আদেশ দেবার সময় নির্ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে ১৬ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৩ জনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। বাকি ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
সেসময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ আবেদনকারীদের মধ্যে যেসব নারীর মা হবার সম্ভাবনা নেই এবং যেসব দম্পতির সন্তান নেই তাদের কারো হাতে একুশের দায়িত্ব দেয়ার আবেদন জানান।
আদালত শুনানির সমাপ্তি ঘোষণার আগে বলেন, শিশুটিকে দত্তক দেয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। আদালত শুধু জিম্মায় দেয়ার এখতিয়ার রাখেন, তা-ও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। এর মধ্যে যদি শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা এসে তাদের সন্তানকে জিম্মায় রাখতে সম্মতি দেয় তাহলে ১৮ বছর পর্যন্ত রাখা যাবে।
পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ আরো বলেন, অনেক আবেদনকারী তাদের আবেদন দত্তক শব্দটি উল্লেখ করেছেন। শিশু আইনের ৬৮ ধারায় আদালতকে জিম্মায় দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য আদালত দত্তক এবং জিম্মায় দেয়ার বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে তারা হলেন শিক্ষিকা লুবনা ইয়াসমিন, ডা. শাকিলা আক্তার, আইনজীবী চুমকি চৌধুরী, গৃহিনী জেসমিন আক্তার, শাহিদা জাহান, শাহানার আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার, শবনম শারমিন, পুলিশের এসআই পারভিন, গৃহিনী জান্নাতুল ফেরদৌস, ইসরাত জাহান এবং গুলশান আক্তার। এছাড়া আবেদন করেও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ জন আবেদনকারী।
আবেদনকারীদের ওপর শুনানিতে অংশ নেন সাবেক পিপি আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অশোক কুমার দাশ।
গেলো ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগে নগরীর কর্ণেলহাট এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাছে ড্রেনের সঙ্গে লাগানো ডাস্টবিন থেকে নবজাতকটিক উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছে। একুশের রাতে উদ্ধার হওয়ায় শিশুটির নাম রাখেন ‘একুশে’।
আর/এসএস
মন্তব্য করুন