• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মোট কেন্দ্র- ৭৩৫, প্রাপ্ত কেন্দ্র- ৫২৬

নৌকা ২,০৩,৬৬১ ধানের শীষ ৩০,৮২৭

আরটিভি নিউজ

  ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৭
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। মোট ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে রেজাউল করিম ২ লাখ ৩ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮২৬ ভোট।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ-সহিংসতা, প্রাণহানি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভাঙচুর, বর্জনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ভোটকে উৎসবমুখর বলা হচ্ছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারাও বলছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় ভোট গণনা।

চট্টগ্রাম নগরের মেয়র এবং ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২২৬ জন। এর মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন ১৬৯ জন। প্রার্থীর মৃত্যুসহ বিশেষ কারণে বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে নামেন ৫৭ জন।

মেয়র পদে মোট প্রার্থী হন সাতজন। এরা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।

চসিক নির্বাচনের আগের দিনে ও নির্বাচনের দিন মিলে মোট তিনজনের প্রাণ ঝরলো। আর আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। নির্বাচনের দিন খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আলা উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ১২ জানুয়ারি আজগর আলী বাবুল নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর আগে প্রথম দফা প্রচারণার সময় ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর রেষারেষিতে জাহিদ তানভির নামের এক যুবক খুন হন।

নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘটা সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১৩ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সংঘর্ষে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্ট মো. হোসেন (৩৫), আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ইমরান (২৫), রাকিব মাহমুদ, মো. রাজু, বাবু (৪০), আবু তাহের (৪২), রাজু, হৃদয় (১৬), বহিরাগত জামশেদ (২৬), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ফারুক (২০), মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও লালখান বাজার এলাকায় সংঘর্ষে আহত হন মো. হোসেন (৩৫), মহসিন (২৪), আনসার সদস কামাল (২২), বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক সেলিনা (৫৫), আওয়ামী লীগের সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থীর সমর্থক তারেক (২১), মোক্তার হোসেন (৩৫), অভিজিৎ চৌধুরী অভি (৫০), লুজক লুক (৩১), রাকিব ও দেলোয়ার (২৬)।

চান্দগাঁও ওয়ার্ডে বিএনপির কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন সাইফ উদ্দীন (৩৪), ইলিয়াস (২৮), আবু সাঈদ (২৮) ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোবারক আলীর অনুসারী আলমগীর (৪০)। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আহত হয়েছেন বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক আবু তাহের (৩০), চকবাজার ওয়ার্ডের ইদ্রিস হোসেন (৪৫)।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh