প্রেমিকার কাছ থেকে টাকাও নিলেন ইন্টারনেটে ভিডিও ছাড়লেন প্রেমিক
হারুনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিতার (ছদ্মনাম)। সম্পর্কের মধ্যেই মনোমালিন্য হয় দুজনের মধ্যে। তবে এর আগেই অন্তরঙ্গ সময় কাটে দুজনার। কৌশলে প্রেমিক হারুন সেই অন্তরঙ্গের ভিডিও-ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। পরে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন প্রেমিকা রিতাকে। তার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন প্রেমিক হারুন। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেন প্রেমিকা রিতা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভিকটিম বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন প্রেমিকা। হারুনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১)(২)(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলার পরদিনই হারুনুর রশিদকে (৩০) তার বাগমারার নামকান গ্রামের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে নামকান পাড়ার শাহজাহান প্রামানিকের সন্তান।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রিতার অশ্লীল কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ আদায়ের পরও অন্যান্য মাধ্যমে তা শেয়ার করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে হারুনকে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। আসামি হারুন সম্পর্কের জের ধরে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে মোবাইলে। কারণবশত দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। তরুণী ১১ জানুয়ারি জানতে পারেন, হারুন ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচিত সকলের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বিষয়টি জানার পর তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হারুন সব কিছু মুছে ফেলার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন। আত্মসম্মানের ভয়ে তরুণ বিভিন্নভাবে টাকা ব্যবস্থা করে হারুনকে দেন। কিন্তু তারপরও ক্ষান্ত হননি হারুন। আবারও সেই আগের মতোই ইন্টারনেটে ছবি ও ভিডিও ছড়াতে থাকেন। দাবি করেন আরও টাকা। পরে কোনও উপায় না পেয়ে তরুণী বাধ্য হয়েই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে জানান, হারুনের মোবাইল-ফোন জব্দ করা হয়েছে। ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে তা। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে হারুন এই মোবাইল ব্যবহার করে অন্য কোনও তরুণীর সঙ্গে এমন প্রতারণা আরও করেছেন কিনা। এছাড়া হারুনকে মঙ্গলবারই আদালতে তুলবেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে তার। রিমান্ড মঞ্জুর হলে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে।
এসআর/এসএস
মন্তব্য করুন