রাজবাড়ীতে সালিশে যুবককে নির্যাতনের দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের চরপাতুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক রাশেদ আলীর প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় নির্যাতনের দায়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার এক সালিশে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুরুষাঙ্গে দুটি ইট বেঁধে ২১ কদম হাঁটায় এবং ১০০ জুতার বারি জরিমানা করা হয়। এতে তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এরপর ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয়রা রাতে পাংশা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। রক্তক্ষরণে রাশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন। এই সালিশে নির্যাতনের দায়ে সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আলীকে কালুখালি থানা পুলিশ রোববার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে রাশেদের বাবা ইমান আলী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। চেয়ারম্যানকে ছাড়াতে প্রভাবশালী মহল থানায় তদ্বির করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরপাতুরিয়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে ভ্যানচালক রাশেদের প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকা অবস্থায় স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি একই গ্রামের একটি মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। এতে প্রথম স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেয়। রোববার বিকেল তিনটায় সাওরাইল ইউপি অফিসে ওই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন :
-
ভরণপোষণ এড়াতে ১০ বছরের ছোট ভাইকে তুলে দিলেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসে
-
কারাবন্দীকে নারীসঙ্গ দিতে কে কতো টাকা পেলেন
-
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ফেরত দিলেন বশির
চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধে আসামি রাশেদকে দোষী সাব্যস্ত করে ওই সাজা প্রদান করেন। সাজার জুতা পিটার পর পেনিসে ইট বেঁধে হাঁটানোর পরপরই রাশেদ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পরে যায়।
স্থানীয়রা রাশেদকে বাড়ি নিয়ে গেলে তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সে আরও অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে পাংশা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পি
মন্তব্য করুন