সেই অফিস সহায়ক হালিমা বরখাস্ত
শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরি দেয়ার নামে ডিসির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে এক নারী ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে বর্তমানে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহকারী বেগম হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে। প্রতারণা, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও স্বাক্ষর জাল প্রমাণিত হওয়ায় হালিমা খাতুনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গেল (২০ জানুয়ারি) বুধবার ডিসির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
২০২০ সালের ২১ জুলাই ‘২৪ লাখ টাকায় চাকরি, জয়েন করতে গিয়ে জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া’ শিরোনামে জনপ্রিয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক জানান, বেগম হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ উপবিধি ৩(ঘ) বিধান মোতাবেক তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (গুরুদণ্ড) প্রদান করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুলকে রাজস্ব প্রশাসনে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা নেন হালিমা খাতুন। এ জন্য তিনি সে সময়ের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন নুপুর। এছাড়া গ্রাম পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে একই গ্রামের রুমা আক্তার হ্যাপির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা এবং সুমন ব্যাপারীর কাছ থেকে ৩ লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হালিমার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, হালিমা খাতুন পূর্ববর্তী কর্মস্থল গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে দায়িত্ব পালনকালে চাকরি দেয়ার নামে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুল ব্যাপারীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। হালিমা খাতুন গোসাইরহাট উপজেলার তারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এরপর ওই ভাই-বোনকে শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। নিয়োগপত্রে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর রয়েছে। গত ১ এপ্রিল তাদের কর্মস্থলে যোগদানের কথা উল্লেখ করা হয় নিয়োগপত্রে। ওই দিন অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র ভুয়া। ভুক্তভোগী নুপুর গত বছরের ৭ জুন হালিমা খাতুন ও তার বাবা মো. আলী আহম্মদ আকনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এসএস
মন্তব্য করুন