• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘এতো তাড়াতাড়ি চেক পামু আশাই করিনি’

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ

  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:০১
‘এতো তাড়াতাড়ি চেক পামু আশাই করিনি’

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বড় সরুন্ডি এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে অধিগ্রহণকৃত জমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ জনের হাতে এক কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ টাকার চেক তুলে দেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

চেক হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর হোসেন, মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান, পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ডা. জেসমিন আক্তার প্রমুখ।

মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মানিকগঞ্জ পৌরসভার বড় সরুন্ডী মৌজায় ৪৪ শতাংশ ভূমির ওপর ২০ এমভিএ ৩৩/১১ কেভি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব করা হয় ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে অনুমোদন হয় ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল। পর্যায়ক্রমে ৪, ৭ ও ৮ ধারায় নোটিশ দেয়া হয় পর্যায়ক্রমে ২৩ এপ্রিল, ১৬ জুন এবং ২০২০ সালের ১৯ মে। তারই ধারাবাহীকতায় আজ অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকের হাতে চেক হস্তান্তর করা হলো। চেক গ্রহীতা মো. রিন্টু মিয়াকে ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৫ টাকা, শেফালী আক্তারকে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, অজিরন বেগমকে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, শিউলী আক্তারকে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ টাকা এবং বিলাসী বেগমকে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ টাকার চেক দেওয়া হয়। চলতি মাসের জুন মাসে এই বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

চেক পেয়ে চেকগ্রহীতারা খুবই খুশী। অজিরন বেগম বলেন, ‘শুনেছি ভূমি অধিগ্রহণের চেক পেতে নাকি অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়। কিন্তু আমাদের চেকে পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। কারও কাছে যেতে হয়নি। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চেক পেলাম। এতো তাড়াতাড়ি চেক পামু আশাই করিনি। এজন্য ডিসি সাব ও সরকারকে ধন্যবাদ।’

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। আমি চাই, সবাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সেবাগ্রহীতারা সেবা পাক। আমি নিজেও সেই লক্ষেই কাজ করি।’

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘ইনস্যুরেন্স পাঠ্যক্রম যুগোপযোগীকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল
কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চট্টগ্রাম
ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে বৈঠক
X
Fresh