প্রবাসীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিলেন চেয়ারম্যান
রাজবাড়ীর পাংশার পাট্ট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ও তার সহোযোগীরা মিলে এক প্রবাসীকে চেয়ার ও লোহার রড দিয়ে বেদম প্রহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রবাসী সহিদ প্রমাণিক গুরুতর জখম হন এবং তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। প্রবাসী সহিদ প্রমাণিক বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার আহত ওই প্রবাসী সহিদ প্রমাণিক চেয়ারম্যান মুনা বিশ্বাসসহ তিনজন আরও অজ্ঞতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
প্রবাসী সহিদ প্রমাণিক বলেন, আমার প্রতিবেশী সন্তোষ মণ্ডল গেলো শনিবার সকালে কথা আছে বলে তার পুকুর চালায় ডেকে নিয়ে যায়। পুকুর চালায় আমার বিবাদীরা আগেই উপস্থিতি ছিল। তারা আমাকে বিনা কারণে হুমকি ধমকি দেয়। যার কারণে আমার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
তারা বলেন, তুই আমার সঙ্গে তর্ক করিস। তোর ছেলের আর তোর কথাবার্তা ভালো নয়। তারপর একপর্যায়ে পাট্টা ইউনিয়নের চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস প্রথমে বসার চেয়ার দিয়ে আমাকে বাড়ি মারে আর বলে এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। চেয়ারম্যান পরপর দুটি দিয়ে আমাকে পিটিয়ে চেয়ারগুলো ভেঙ্গে ফেলে।
পরে তার এক সহোযোগী মোটরসাইকেল থেকে রড এনে আমাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে এতে আমি রক্তাক্ত জখম হই। তারা আমার একটি হাত ভেঙ্গে ফেলে। তারপর আমাকে দুইটা পিস্তল দেখিয়ে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। তোকে মেড়ে ফেলবো তোকে শেষ করে দেব। তুইতো জোনাবের লোক তোকে মেড়ে ফেলবো জোনাব আলী পাট্টা ইউপিতে মুনা বিশ্বোসের বিরোধী নেতা।
এ মামলা সম্পর্কে চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই মুনা চেয়াম্যানের নামে থানায় একাধিক জিডি অন্তর্ভুক্ত আছে।সে সবসময় ক্ষমতার জোরে মানুষকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেয়। এ মামলা সর্ম্পকে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. সাহাদত হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের ধরতে জোর তৎপরতা চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন