• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

আবারও ননদকে হারিয়ে কাউন্সিলর ভাবি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী, আরটিভি নিউজ

  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:০৩
নির্বাচন×ভাবি×ননদ×চমক×কাউন্সিলর×বিজয়ী×বাংলাদেশ×রাজশাহী×
ছবি সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ছিলো বড় চমক। এ পৌরসভায় এবার সংরক্ষিত আসন (১, ২ ও ৩) ১ নম্বর ওয়ার্ডে ননদ ও ভাবির ভোটযুদ্ধ ছিল আলোচনার মূলকেন্দ্রবিন্দুতে।

নির্বাচনের শুরু থেকেই মেয়র প্রার্থীদের মতোই সবার চোখ ছিল সংরক্ষিত এক নম্বর ওয়ার্ডের দিকে। কিন্তু ভোট গণনা শেষে দেখা যায় ননদ নারগিস বিবিকে হারিয়ে ভাবি রোনা বিবি বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা দুবার তিনি নির্বাচিত হলেন।

শনিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলে বেসরকারিভাবে সংরক্ষিত এক নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত রোনা বিবিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। তিনি অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তিনি পেয়েছেন ৯৬৯ ভোট। আর ননদ নারগিস বিবি জবা ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫৯ ভোট। এছাড়াও রোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পলিনা খাতুন পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবা গ্রামের আবদুল হামিদের স্ত্রী নারগিস বিবি। ২০১০ সালের নির্বাচনে কসবা গ্রামের আবদুল হামিদের স্ত্রী নারগিস বিবি সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই বছর তার ভাবি প্রার্থী ছিলেন না।

২০১৫ সালের নির্বাচনে নারগিস বিবিসহ অন্য তিন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন বড় ভাই মাহাবুর রহমানের স্ত্রী রোনা বিবি। ওই বছরের নির্বাচনে ভাবির কাছে হেরে যান ননদ নারগিস বিবি। ভাবি নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তবে হাল ছাড়েননি ননদ নারগিস বিবি। তিনি পাঁচ বছর এলাকার লোকজনের পাশে থেকেছেন। নিজের মাঠ গুছিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অতীতের ভুল শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ভাবির কাছে হেরে গেছেন।

এবার নির্বাচনেও সংরক্ষিত ওয়ার্ড (১, ২ ও ৩) থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ননদ-ভাবিসহ মোট পাঁচজন। তবে সব আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ননদ-ভাবি। ননদ জবা ফুল ও ভাবি অটোরিকশা প্রতিকে নির্বাচন করেন তারা। প্রতীক নিয়ে তারা দুজনেই প্রচারণা চালিয়েছেন সমানতালে। সকাল হলেই একই বাড়ি থেকে দুই প্রার্থী প্রচারণায় নেমে পড়েন। তাদের সঙ্গে প্রচারণায় যোগ দেন কর্মী, সমর্থক ও দুজনের স্বামী। ওয়ার্ডের আলাদা আলাদা এলাকায় প্রচারণা শেষে একই বাড়ি ফেরেন। কখনও মুখোমুখি হলেও তাদের মধ্যে কোনও বিরোধ দেখা দেয়নি। পরস্পরের বিরুদ্ধে কোনও অপপ্রচারে লিপ্ত হননি তারা। এভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বলে প্রার্থী ও ভোটারদের বক্তব্য।

রোনা বিবির স্বামী মাহাবুর রহমান বলেন, বোন তার মতো নির্বাচন করছেন এবং তিনি স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মতো কাজ করেছেন। ভোটাররা দ্বিতীয়বারের মতো তার স্ত্রীকে বেছে নিয়েছেন।

জয়ী রোনা বিবি বলেন, কারও প্রতি তার কোনও রাগ নেই। তিনি আগের মতোই লোকজনের পাশে থেকে সেবা করতে চান।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ইসির নির্দেশনা
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
X
Fresh