• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রবি শস্যে স্বপ্ন বুনছেন কুড়িগ্রামের কৃষক

কুড়িগ্রাম (উত্তর প্রতিনিধি), আরটিভি নিউজ

  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৩০
ফসল×রবি×শস্য×কৃষক×কুড়িগ্রাম×বিঘা×জমি×বাংলাদেশ×
ছবি সংগৃহীত

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে খরিফ ও রবি শস্যে স্বপ্ন বুনছেন কুড়িগ্রামের কৃষক। ইতোমধ্যে খরিপ ফসল কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা আর রবি শস্যের ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন তারা। খরিফ ফসলের মধ্যে এবার চরাঞ্চলে আবাদ হয়েছে মাষ কালাই, তিল, ও বাদাম। এসব ফসল নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে আবাদ হয়। বন্যায় খরিফ মৌসুমের ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চর কৃঞ্চপুর এলাকার কৃষক হারিজ আলী আরটিভি নিউজকে জানান, এবার তিনি আট বিঘা জমিতে মাষকালাই চাষ করেছেন। ফলন বিঘে প্রতি চার থেকে পাঁচ মণ প্রত্যাশা করছেন। মণ প্রতি তিন হাজার থেকে পাঁচশ টাকা বিক্রি করতে পারবেন তিনি।

তিনি জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই বিনা চাষে জমিতে বিঘে প্রতি চার কেজি মাষকালাই বীজ ছিটিয়ে দিয়েছেন তিনি।

যার বাজার মূল্য ছিলো ৩২০টাকা। আর কোনও বাড়তি খরচ লাগেনি তার। বলতে গেলে বিনা খরচেই চার থেকে পাঁচ মণ কালাই পাবেন তিনি।

অপরদিকে বেশির ভাগ চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে রবি শস্য আবাদ হয়েছে।

পতিত জমিতে চাষ হয়েছে শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। কৃষকরা জানিয়েছেন সবজির দাম ভালো থাকায় এবার বন্যার ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে উঠেছে। অপরদিকে রবি শষ্যের ফলন ভালো হলে আর কোনও চিন্তা থাকবে না তাদের।

এবারের কয়েক দফা বন্যায় জেলায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোয়া লক্ষাধিক কৃষক। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলসহ পতিত জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষা, বাদাম, খেষারি, চিনা, গম, ভুট্টা, আলু, বেগুন, টমেটো, করোলা, লাউ, শশা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।

চরাঞ্চলের মাঠ ভরা ফসলে কৃষকের চোখে দেখা দিয়েছে ঘুরে দাঁড়ানো স্বপ্ন।

জেলার কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বন্যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি ছয় হাজার ৮৮৫ হেক্টর, মরিচ এক হাজার ৪২১ হেক্টর, আলু পাঁচ হাজার ৩১০ হেক্টর, বাদাম দুই হাজার ৮৫০ হেক্টর, সূর্যমুখী ৮৮ হেক্টর, গম ৭৩৮ হেক্টর, ভুট্টা নয় হাজার ৭১০ হেক্টর, শরিষা ১৩ হাজার আটশ, খেষারি ৯৭৫ হেক্টর, মাষকালাই ৯০ হেক্টরসহ তিল, চিনাসহ প্রায় ৩৬ প্রকার রবিশষ্য আবাদ হয়েছে। এছাড়া চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমি এবং বীজতলা তৈরি করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে।

কুড়িগ্রামের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মনজুরুল হক আরটিভি নিউজকে জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রবি মৌসুমের আবাদ ভালো হয়েছে। প্রত্যাশিত ফলন পাবে কৃষক।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৯ মার্চ)
হাবিপ্রবিতে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ 
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা
নিউইয়র্কে বাংলাদেশির মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বক্তব্যে ভাইয়ের বিরোধিতা
X
Fresh