• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শীতে খড়ের আগুনই ভরসা তিস্তাপাড়ের কয়েক লাখ মানুষের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৩২
মানুষ×হিমালয়×লালমনিরহাট×স্বাভাবিক×ভোগান্তি×তীব্রতা×আলো×
ছবি সংগৃহীত

তীব্র শীতে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত লালমনিরহাটের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম, ভোগান্তিতে আছে নিম্ন আয়ের মানুষজন।

কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী অন্তত ৭০ টি চরের কয়েক লাখ শীতার্ত মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও বেড়েছে ঠান্ডা। এতে কাবু হয়ে পড়েছে তিস্তাপারের শিশু, বৃদ্ধ সকলেই। বিশেষ করে তাদের শীতের পোশাক না থাকায় খড়কুটোর আগুনই তাদের একমাত্র ভরসা এ এসব অসহায় শীতার্ত মানুষের।ঠান্ডার কারণে কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ।

একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায় শীতবস্ত্রহীন মানুষ তাকিয়ে থাকছেন সূর্যের আলোর দিকে। ঠান্ডার তীব্রতার কারণে রাস্তাঘাটে লোকসমাগম কমে গেছে । ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের মমিনুর মিয়া জানান, ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার জন্য সকাল থেকে কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাইনি। শীতে গৃহস্থরা কাজে নিতে চান না

একই গ্রামের গ্রামের ইয়াকুব মিয়া বলেন, ঠান্ডার কারণে কোনও কাজকর্ম করতে পারছি না। অনেক কষ্টে রাত কাটিয়েছি। গায়ে কাপড় নাই তাই বাইরে বের হতে পারিনি।

চরবেষ্টিত আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা দুর্গম। এখানে প্রায় ১২টি চর রয়েছে। এসব চরে বসবাসকারী শীতার্ত মানুষ কষ্টে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে যে পরিমান ত্রাণ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান রয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী নারীর
ইন্টারনেটে ধীরগতি, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে
X
Fresh