হতাশায় আত্মহত্যা করলেন ঢাবি ছাত্রের বাবা
সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও বিয়ে দিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এক পিতা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিনের পর দিন অন্যের ভাড়া বাসায় থেকে হতাশায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়া বাজারের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের আম গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থা রাজু মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রাজু মিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলেন।
রাজু মিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পাইকার হাট এলাকায়।
নিহত রাজুর সম্পর্কে খালাতো ভাই সাগর মিয়া জানান, এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল রাজু মিয়ার।
মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। ছেলের লেখাপড়া ও মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন রাজু।
একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। স্ত্রী তার বাবার বাড়ি পীরগাছা উপজেলার কদমতলীতে চলে যান। এদিকে সন্তানরাও তার খোঁজ-খবর নিচ্ছিল না। এ অবস্থায় চার মাস আগে সদ্যপুস্করিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন রাজু। দিন-রাতে তার কাছেই খেতেন এবং রুম ভাড়ার টাকা রাজুর বোনরা পাঠাতেন।
বাসার মালিক মতিয়ার রহমান জানান, চার মাস আগে তিনি একটি রুম ভাড়া নেন রুম। প্রতি মাসে সাতশো টাকা করে ভাড়া দিতেন।
মানুষ হিসেবে সহজ সরল ছিলেন রাজু। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদেও গিয়েছিলেন।
সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন