বাবার বাড়িতে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু

চাঁদপুরে শান্তনা খাতুন (১৬) নামের এক নববধূর রহস্যজনকভাবে মত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শান্তনার স্বামী ফয়সাল আলীকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ালিকান্দি গ্রামে বুধবার দুপুরে নববধূর বাপের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

মৃত নববধূ শান্তনা রহিম বাদশা হাওলাদারের মেয়ে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তনার বাবা নিজে বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শান্তনার বড় ভাই শাকিল জানায়, গেলো তিন মাস আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফয়সাল আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে শান্তনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার বোন তাদের বাড়িতেই থাকতো এবং বোন জামাই ফয়সাল নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। তাদের মধ্যে কোনোরূপ কলহ ছিল না। ঘটনার দিন বুধবার সকালে আমার বাবা-মা আমার ছোট বোন শান্তনা ও তার স্বামীকে ঘরে রেখে ক্ষেতে কাজ করতে যায়। বেলা ১২টার সময় আমার ছোট বোন সেলিনা স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে দেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে আমার বোন শান্তনা। এই দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। ওই সময় শান্তনার স্বামী বাড়িতে ছিল না। আমাদের ধারণা কেউ আমার বোনকে মেরে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দেয়। বোনের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন নিহত শান্তনার ভাই শাকিল।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, বুধবার রাতে আমরা খবর পাই। এলাকাটি চরাঞ্চল হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের বাবা রহিম বাদশা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নববধূর স্বামী ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি।

জেবি